বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস আজ

প্রকাশ | ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
আজ বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস। হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে ও জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালিত হচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস পৃথক বাণী দিয়েছেন। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, '২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে সরকার দেশব্যাপী বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। এই অভীষ্ট অর্জনে সুষ্ঠু স্যানিটেশন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।' রাষ্ট্রপতি বলেন, স্বাস্থ্যসম্মত ও টেকসই স্যানিটেশন ব্যবস্থা এবং ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা জনস্বাস্থ্য উন্নয়নের পূর্বশর্ত। ডায়রিয়া ও পানিবাহিত নানা রোগ থেকে রক্ষা পেতে স্যানিটেশন ব্যবস্থা ও সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তোলার বিকল্প নেই। খাওয়ার আগে ও পরে, টয়লেট ব্যবহারের পর এবং অন্যান্য সময়ে শিশুদের হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়তে পরিবার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের দায়িত্ব অত্যধিক। তিনি বলেন, সবার জন্য স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন নিশ্চিত করতে উন্নত স্যানিটারি ল্যাট্রিন নির্মাণ, সব শ্রেণির মানুষের ব্যবহার উপযোগী পাবলিক ও কমিউনিটি টয়লেট স্থাপনসহ কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার অভ্যাস গড়তে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোয় ওয়াশ বস্নক ও হাত ধোয়ার বেসিন নির্মাণ করা হচ্ছে। দেশে বর্তমানে বেসিক স্যানিটেশন কাভারেজপ্রাপ্ত বিদ্যালয়ের হার ৮৭ শতাংশ এবং পানি ও সাবানের মাধ্যমে হাইজিন সুবিধাপ্রাপ্ত বিদ্যালয়ের হার ৯২ শতাংশ। এই হার শতভাগে উন্নীতকরণের পাশাপাশি স্যানিটেশন বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, স্যানিটেশন একটি চলমান প্রক্রিয়া যা মানুষের অভ্যাস ও আচরণ পরিবর্তনের মাধ্যমে অর্জন ও বজায় রাখা সম্ভব। স্যানিটেশন ও হাত ধোয়া কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। তিনি স্থানীয় সরকার, পলস্নী-উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে স্যানিটেশন ও হাইজিন তথা স্বাস্থ্যবিধি বিষয়ে জনসচেতনতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রতি বছরের মতো এবারও 'বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস' পালনের উদ্যোগকে স্বাগত জানান। রাষ্ট্রপতি 'বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস-২০২৪' উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সফলতা কামনা করে আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে আগামী দিনে টেকসই স্যানিটেশন ব্যবস্থাপনা, পরিচ্ছন্নতা ও সঠিক স্বাস্থ্যবিধি অনুশীলনে বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যাবে। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আজ বিশ্বের অন্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও প্রতিবছরের মতো এবারও স্থানীয় সরকার, পলস্নী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে 'বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস-২০২৪' পালিত হচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি উলেস্নখ করেন, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন কর্মসূচি ও প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, 'আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, ২০৩০ সালের মধ্যে সবার জন্য নিরাপদ স্যানিটেশন ব্যবস্থা ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা। সে লক্ষ্যে 'বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস' যথাযথভাবে পালন ও হাইজিন প্রসারের সচেতনতা বাড়ানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 'বিশ্ব হাত ধোয়া দিবসের' এবারের প্রতিপাদ্য- 'পরিচ্ছন্ন হাত কেন এখনো গুরুত্বপূর্ণ?' যথার্থ হয়েছে বলেও প্রফেসর ইউনূস মনে করেন। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের উদ্যোগে জনসচেতনতামূলক এ আয়োজন সবার জন্য স্বাস্থ্যসুরক্ষা নিশ্চিত করে জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখবে। সামাজিক এ আন্দোলনকে আরও বেগবান করতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও গণমাধ্যমসহ দেশের প্রতিটি নাগরিককে এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান তিনি। প্রফেসর ইউনূস 'বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস-২০২৪' উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।