সালমান-আনিসুল-পলককে আরও ৪৭ মামলায় গ্রেপ্তার

প্রকাশ | ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
সালমান এফ রহমান, আনিসুল হক ও জুনায়েদ আহমেদ পলক
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকসহ ১৫ জনকে আরও ৪৭ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ও আহতের ঘটনায় ভুক্তভোগীরা এসব মামলা দায়ের করেন। এর মধ্যে হত্যা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা রয়েছে। সোমবার সকালে তাদের কারাগার থেকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা ১৫ আসামিকে আরও ৪৭ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হুদা তাদের এসব মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। সালমান এফ রহমানকে মতিঝিল থানার ১৭ মামলা, মিরপুর থানার ৪টি এবং ধানমন্ডি ও বাড্ডা থানায় ১টি করে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে মিরপুর ৭, বাড্ডা ও ধানমন্ডিতে ১টি করে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। সাবেক আইজিপি আব্দুলস্নাহ আল মামুনকে মিরপুরে ৭, মোহাম্মদপুরে ১, ধানমন্ডিতে ৩, বাড্ডায় ২ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। জুনায়েদ আহমেদ পলককে মিরপুরে ৩, বাড্ডায় ২, ধানমন্ডিতে ১ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, সাবেক আইনমন্ত্রীকে সোমবার সকাল সাড়ে সাতটার পর আদালতে হাজির করা হয়। পরে তাকে বাড্ডা থানার মামলায় ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়। অন্যদিকে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাকে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। অন্যদিকে মিরপুর থানায় দায়ের করা পৃথক সাতটি হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে মিরপুর থানার পুলিশ। আদালত ওই সাত মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানকে সকাল সাড়ে সাতটার পর আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে তাকে মিরপুর থানায় দায়ের করা পৃথক চারটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে পুলিশ। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেন। একইভাবে বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেননকে মিরপুর থানায় দায়ের করা পৃথক দুটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়। আদালত ওই দুই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর অনুমতি দেন। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনুকে মিরপুর থানার একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানকে মিরপুর থানার একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। সাবেক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি-বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদকে মিরপুর থানার পৃথক তিনটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। নেতাদের বাইরে সাবেক পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুলস্নাহ আল-মামুনকে মিরপুর থানার পৃথক চারটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। গত ৩ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার হন সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুলস্নাহ আল-মামুন। পৃথক ১০টি মামলায় তার ৫৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গত ১৩ আগস্ট গ্রেপ্তার হন সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হক। পৃথক সাতটি মামলায় সালমানের ৪৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে। অন্যদিকে আনিসুলের ৩০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ১৪ আগস্ট গ্রেপ্তার হন জুনাইদ আহমেদ। পাঁচ মামলায় তার ৩৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ২২ আগস্ট গ্রেপ্তার হন রাশেদ খান মেনন। চার মামলায় তার ২১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ২৬ আগস্ট গ্রেপ্তার ইনু। পাঁচ মামলায় তার ২৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গত ৫ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার হন শাজাহান খান। একটি হত্যা মামলায় তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।