ভারত অতিথি হিসেবে ঘাতক হাসিনাকে গ্রহণ করেছে :রিজভী

প্রকাশ | ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
রোববার যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক দেশে ফিরলে তাকে সঙ্গে নিয়ে দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী -ফোকাস বাংলা
ভারত অতিথি হিসেবে দুনিয়ার সবচেয়ে ঘাতক রাজনীতিবিদ শেখ হাসিনাকে গ্রহণ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ছাত্রদের ওপর যেসব ছাত্রলীগ, যুবলীগ নেতাকর্মী বন্দুক দিয়ে গুলি চালিয়েছে সেই ছাত্রলীগ, যুবলীগ এখনো কেন গ্রেপ্তার হচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। রোববার যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক দেশে ফিরলে তাকে সঙ্গে নিয়ে দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের অনেক নেতা ভারতে গিয়েছে। ভারত তাদের পাসপোর্ট চেক করেনি। তাদের ভিসাও লাগেনি। অথচ বাংলাদেশের অন্য মানুষ ভারতে গেলে তাদের তো পাসপোর্ট, ভিসা লাগে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্যকের্ যাব, পুলিশ বাংলাদেশে দুই মাস গুম করে রাখার পরে ভারতে ফেলে দিয়ে এসেছিল। সেখানে তার মামলা ফেইস করতে হয়েছে, জেল খাটতে হয়েছে। তিনি বলেন, ভারত আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ। সে দেশে গণতন্ত্র আছে। তারা কী করে বাংলাদেশকে এক চোখে দেখে? তারা জনগণকে অবজ্ঞা করে, তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে নিয়ে অবজ্ঞা করে। তারা অতিথি হিসেবে গ্রহণ করেছে দুনিয়ার সবচেয়ে ঘাতক রাজনীতিবিদ শেখ হাসিনাকে। তিনি বলেন, দুর্গাপূজা সুন্দর ও শান্তশিষ্টভাবে পালিত হয়েছে। কারণ, সরকারের আন্তরিকতা ছিল এবং দেশের গণতন্ত্রমনা বিশেষ করে বিএনপি এবং অন্য দলগুলো দিনরাত পাহারা দিয়েছে। অথচ পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারতের মিডিয়া নানা ধরনের মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। কিন্তু এতে কোনো লাভ হয়নি। শতাব্দীর পর শতাব্দী থেকে সাম্প্র্রদায়িক সম্প্র্রীতির এক অভূতপূর্ব শান্তিপূর্ণ দেশ বাংলাদেশ। শুধু এ দেশকে কলঙ্কিত করেছেন শেখ হাসিনা। সে বারবার তার এজেন্ট দিয়ে মন্দিরে হামলা করিয়েছে। আওয়ামী লীগের ভাষায় কথা বলেছে ভারতের নীতিনির্ধারকরা। কারণ, তাদের বাংলাদেশের জনগণের বন্ধুত্ব দরকার নাই। তাদের দরকার শেখ হাসিনার বন্ধুত্ব। তাদের দরকার ওবায়দুল কাদেরের বন্ধুত্ব। তাদের দিয়ে বাংলাদেশে কর্তৃত্ব বজায় রাখতে চায়। এখন ভারতের মানুষ দেখুক বাংলাদেশের মানুষ কত শান্তিপ্রিয় গণতন্ত্রকামী। এ সময় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মাহবুবুল ইসলাম, স্বেচ্চাসেবক দলের নেতা ডা. জাহিদুল কবির, যুবদলের নেতা মেহেবুব মাসুম শান্তসহ কয়েক হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। উলেস্নখ্য, দীর্ঘ ১৯ বছর পর দেশে ফিরেছেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এমএ মালিক। রোববার দুপুরে তাকে স্বাগত জানান নেতাকর্মীরা।