বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১

যেভাবে জানা যাবে এইচএসসির ফল

১৫ অক্টোবর ফল প্রকাশ
যাযাদি ডেস্ক
  ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
যেভাবে জানা যাবে এইচএসসির ফল

অন্য বারের মতো এবারও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইটের পাশাপাশি যে কোনো মোবাইল থেকে এসএমএস করে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল জানা যাবে।

আগামী ১৫ অক্টোবর বেলা ১১টায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অনলাইনে একযোগে প্রকাশিত হবে উচ্চমাধ্যমিকের ফল।

গত সরকারের আমলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশ করতেন। তবে এবার ফলাফল প্রকাশের আনুষ্ঠানিকতার বিষয়ে কোনো তথ্য এখনো আসেনি।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ড বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ঢাকা বোর্ডের ওয়েবসাইট (িি.িফযধশধবফঁপধঃরড়হনড়ধৎফ.মড়া.নফ) ও বোর্ডগুলোর সমন্বিত ওয়েবসাইটে (িি.িবফঁপধঃরড়হনড়ধৎফৎবংঁষঃং.মড়া.নফ) ঢুকে রেজাল্ট কর্নারে ক্লিক করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এন্ট্রি সেরে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক ফলাফল নামানো যাবে। এছাড়া পরীক্ষার্থীরা রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর টাইপ করে ফল জানতে পারবে। ফল প্রকাশের পর মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমেও তা জানা যাবে।

এইচএসসির ফল জানতে ঐঝঈ লিখে স্পেস দিয়ে শিক্ষা বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০২৪ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে আসবে ফল।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় মাঝপথে বন্ধ হয়ে যাওয়া এবারের পরীক্ষার ফল কীভাবে প্রকাশ করা হবে তা নির্ধারণে সময় লেগে যাওয়ায় সাড়ে ১৪ লাখ পরীক্ষার্থী ফলাফলের অপেক্ষায় রয়েছেন। ১৫ অক্টোবর তাদের সেই অপেক্ষা শেষ হতে চলেছে।

ছাত্র-জনতার আন্দোলন এবং সরকার পতনের পরের ঘটনাপ্রবাহে এবার উচ্চমাধ্যমিকের সাতটি বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়ার পর বাকিগুলো আর নেওয়া সম্ভব হয়নি। কিছু শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে বাকি পরীক্ষা নেওয়া হবে না বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তরফে ঘোষণা আসে।

ফলাফল কীভাবে হবে জানতে চাইলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এর আগে বলেছিলেন, 'যে কয়টা বিষয়ের পরীক্ষা হয়েছে সেগুলোর উত্তরপত্র মূল্যায়নের মাধ্যমে হবে, যেগুলোর পরীক্ষা হয়নি সেগুলোর এসএসসিতে যে নম্বর পেয়েছে সেটাই সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে মূল্যায়ন হবে।'

চলতি বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ৩০ জুন। তবে বন্যার কারণে সিলেট বোর্ডের পরীক্ষা শুরু হয় ৯ জুলাই। ১১ বোর্ডের অধীনে এবার প্রায় সাড়ে ১৪ লাখ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় বসে।

এরপর সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে দেশজুড়ে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে ১৬ জুলাই রাতেই সারাদেশে স্কুল, কলেজ, পলিটেকনিকসহ সব বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ১৮ জুলাইয়ের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়।

পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে গেলে ১ আগস্ট পর্যন্ত উচ্চ মাধ্যমিকের সব পরীক্ষা স্থগিত করে আন্তঃশিক্ষাবোর্ড সমন্বয় কমিটি।

পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে ৪ আগস্ট থেকে পূর্বঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরে সেই পরীক্ষাগুলোও স্থগিত হয়ে যায়।

বারবার স্থগিতের পর ১১ আগস্ট থেকে নতুন সূচিতে পরীক্ষা শুরুর কথা ছিল। কিন্তু সরকার পতনের পর সহিংসতায় বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি প্রশ্নপত্র পুড়ে গেলে পরীক্ষা ফের স্থগিত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

পরে স্থগিত পরীক্ষাগুলো আগামী ১১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল, সেজন্য নতুন সূচিও প্রকাশ করেছিল কর্তৃপক্ষ, কিন্তু পরীক্ষা দিতে অনাগ্রহী শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামে।

পরে অন্তর্র্বর্তী সরকার তা আরও দুই সপ্তাহ পিছিয়ে অর্ধেক প্রশ্নে পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু ২০ আগস্ট পাঁচ শতাধিক পরীক্ষার্থী পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে ঢুকে পরীক্ষা না দেওয়ার দাবি তোলে। পরে সেদিনই সরকার তাদের দাবি মেনে নিয়ে বাকি পরীক্ষাগুলো না নেওয়ার ঘোষণা দেয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে