আওয়ামী লীগ এখনো ষড়যন্ত্র করছে : ফারুক
প্রকাশ | ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবদিন ফারুক বলেছেন, পলাতক আওয়ামী লীগের মধ্যে যারা এখনো দেশে আছেন তারা ষড়যন্ত্র করছেন। পুলিশের তথ্যমতে পূজা উপলক্ষে ১৬ থেকে ১৭টি বিশৃঙ্খলা হয়েছে। এ অবৈধ কাজ কারা করে এটা বের করা সহজ।
তিনি বলেন, যুবলীগ-ছাত্রলীগ-গুন্ডালীগের হাতে অস্ত্র রয়েছে সেটা এখনো উদ্ধার হয়নি। তারা মন্দিরে হামলা করবে এটা পরিষ্কার।
শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত নাগরিক সংলাপে এসব কথা বলেন তিনি।
বাংলাদেশ সত্যের শক্তি আয়োজিত কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির আহ্বায়ক রাকেশ রহমান। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ লেবার পার্টির সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান ইরান, বিপস্নবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী।
জয়নাল আবদিন ফারুক বলেন,
এখন কেন মরিচের দাম ৭০০ টাকা হবে। এখনো কি আওয়ামী লীগ সিন্ডিকেট আছে। এখনো শাকসবজির ওপর হাত দেওয়া যায় না।
প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ করে তিনি জানান, সচিবালয় ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান থেকে আওয়ামী লীগের পেতাত্মাদের বের করতে না পারলে চক্রান্ত থামবে না। এটা করতে না পারলে সুনাম নষ্ট হবে। কারণ আওয়ামী লীগের দোসরদের হাতে অস্ত্র আছে, অবৈধ টাকার মালিক তারা। তারা ষড়যন্ত্র করে মরিচের দাম বাড়াবে, মন্দিরে হামলা করবে। এরা বাজার সিন্ডিকেট করবে। আমরা বলব তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেওয়া উচিত।
নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে পরিষ্কার ধারণা থাকা উচিত। যাতে ফখরুদ্দীন-মইনুদ্দিনের ধারণা তাদের না থাকে। যারা ক্ষমতা দখল করে বলেছিল ক্ষমতা হস্তান্তর করবে। কিন্তু তারা ষড়যন্ত্র করে হাসিনার কাছে ক্ষমতা দিয়ে যায়।
পূজা দেখলেন রিজভী
এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পূজামন্ডপ পরিদর্শন করেছেন অন্তর্র্বর্তী সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা প্রদীপ চাকমা ও বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। শনিবার দুপুর ১২টায় জগন্নাথ হলের মন্ডপ পরিদর্শন করেন তারা।
পরিদর্শন শেষে প্রদীপ চাকমা বলেন, 'এ দেশ এমন একটি দেশ- যেখানে সাম্য, ভ্রাতৃত্ব, মৈত্রী সবকিছুই আছে এবং আমাদের সেটি ধরে রাখতে হবে। আমাদের ধর্মীয় বন্ধন টিকিয়ে রাখতে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করব।'
রিজভী বলেন, 'ইতিহাসে বিভিন্ন শাসনকাল আছে। হিন্দু আমল, বৌদ্ধ আমল, মুসলিম আমল; এমন বিভিন্ন আমল থাকতে পারে, কিন্তু উৎসবের কোনো শাসনকাল ছিল না। উৎসব ছিল মহামিলন ও অপার আনন্দের জায়গা। এই জায়গাটাকে যেন আর কেউ বিনষ্ট করতে না পারে, সে ব্যাপারে আমাদের সচেতন থাকতে হবে।'
আওয়ামী লীগের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, 'শুধু কর্তৃত্ববাদী শাসন ব্যবস্থাকে দীর্ঘায়িত করার জন্য ওরা জঙ্গি, সাম্প্রদায়িক, ওরা এই-ওরা সেই, সাম্প্রদায়িক ইত্যাদি বলে বলে সমাজের মধ্যে যে বিভেদ রেখা তৈরি করেছিল, সেই বিভেদ রেখা আর থাকবে না। এজন্যই দুর্গাপূজাকে আরও সুন্দর, আরও বেশি উন্মুক্ত করতে প্রতিটি সম্প্রদায়ের মানুষ মিলে রাত জেগে সবাই পাহারা দিচ্ছে, যাতে কোনো কুচক্রী মহল কোনোভাবেই তাদের উদ্দেশ্য সাধন করতে না পারে।'