চাকরিতে প্রবেশের বয়স :প্রতিবেদন জমা কমিটির
প্রকাশ | ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি রিপোর্ট
করোনাকালীন অচলাবস্থা, বেকারত্ব ও পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এবং উন্নত বিশ্বের নিয়মকানুনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির যে দাবি তা পর্যালোচনা করে প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে উপেক্ষিত দাবিটি পর্যালোচনার জন্য অন্তর্র্বর্তী সরকার জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরীর নেতৃত্ব একটি কমিটি করে দেয় যারা তাদের মতামত তুলে ধরে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
এই কমিটির সদস্য সচিব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোখলেস উর রহমান।
কমিটির প্রধান মুয়ীদ চৌধুরী চাকরিতে প্রবেশের বয়স বৃদ্ধির দাবিকে আগেই 'যৌক্তিক' বলে মন্তব্য করে আন্দোলনকারীদের আস্থায় রয়েছেন। জমা দেওয়া প্রতিবেদনে তার সেই দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন ঘটেছে কিনা, সেটি এখন বড় প্রশ্ন।
বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মানসুর হোসেন বলেন, 'নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার কাছে সুনির্দিষ্ট সুপারিশসহ কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।'
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা এখন ৩০ বছর। এটি ৩৫ করার দাবিতে কয়েক বছর ধরে আন্দোলন করে আসছে 'চাকরিতে আবেদনের বয়স ৩৫ প্রত্যাশী শিক্ষার্থী সমন্বয় পরিষদ'। এই ব্যানারে তাদের প্রায়ই কর্মসূচি নিয়ে রাস্তায় নামতে দেখা যায়।
ক্ষমতাচু্যত আওয়ামী লীগ সরকার তাদের দাবিকে 'যোক্তিক' মনে করেনি; তার পক্ষে কিছু যুক্তি দিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে তা মানেননি শিক্ষিত বেকার তরুণ-তরুণীরা।
এরই মধ্যে প্রবল গণআন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পড়ে যায় আওয়ামী লীগ সরকার; অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ক্ষমতায় বসে অন্তর্র্বর্তী সরকার।
এর পর নানা দাবিতে বিভিন্ন সংগঠনের কর্মসূচির মধ্যেই আবার মাঠে নামে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির দাবি নিয়ে আন্দোলন করা শিক্ষার্থী ও তরুণরা।
এ পরিস্থিতিতে তাদের দাবি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় সুপারিশ করতে ৩০ সেপ্টেম্বর কমিটি গঠন করে অন্তর্র্বর্তী সরকার।
দায়িত্ব পেয়ে মুয়ীদ চৌধুরী কোভিড মহামারি, বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশন জটকে বিবেচনায় নিয়ে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর দাবিকে 'যৌক্তিক' বলে মন্তব্য করেছিলেন।
২ অক্টোবর তিনি বলেছিলেন, আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে কমিটি তাদের সুপারিশ জমা দেবে। কমিটির একটাই ফোকাস, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা পর্যালোচনা। এটা নিয়ে অনেক দিন ধরে একটি আন্দোলন চলছে।
তিনি আরও বলেন, 'বয়স বৃদ্ধির দাবিতে যারা আন্দোলন করছে, তাদের সঙ্গে আমরা বসেছিলাম। বয়স বৃদ্ধি করার যৌক্তিকতা আছে, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। কোভিড, সেশন জটে অনেকের সমস্যা হয়েছে। এখনকার চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো উচিত।'
প্রতিবেদনে আন্দোলনকারীদের দাবি পূরণের সুপারিশ করা হয়েছে কি না- জানতে চাইলে বৃহস্পতিবার রাতে মুয়ীদ চৌধুরী বলেন, প্রতিবেদনের বিষয়বস্তু 'গোপনীয়'। ফলে তিনি এখনই কোনো মন্তব্য করতে চান না।