বিভিন্ন সময় ধর্মীয় সংঘাত সৃষ্টির মাধ্যমে রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল বলে মন্তব্য করে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, 'ভবিষ্যতে কাউকে এই ধরনের সুযোগ দেওয়া হবে না।'
শুক্রবার দুর্গাপূজা উপলক্ষে ঢাকার কলাবাগান মাঠে ধানমন্ডি সর্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটি আয়োজিত পূজামন্ডপ পরিদর্শনের সময় তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, 'বিভিন্ন সময় ধর্মীয় সংঘাত সৃষ্টির মাধ্যমে রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। ভবিষ্যতে রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার এ ধরনের সুযোগ আমরা আর কাউকে দেব না। আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি যেন সারা দেশে নির্বিঘ্নে পূজা উদযাপন করা যায়। এ জন্য এক দিন ছুটি বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রদান করা হয়েছে।'
নাহিদ ইসলাম বলেন, 'আমার নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন নিয়ে কাজ করছি; যেখানে সকল ধর্ম বর্ণের মানুষ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এক সঙ্গে এগিয়ে যাব। একটি দেশের স্থিতিশীলতা নির্ভর করে সে দেশের ধর্মীয় সম্প্রীতি ওপর। আমরা বাংলাদেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি সমুন্নত রাখতে চাই। বাংলাদেশের ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় না থাকলে এটি পুরো দক্ষিণ এশিয়াতেই প্রভাব ফেলবে। দেশের অনেক জায়গায় পরিস্থিতি ঘোলা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।'
ধানমন্ডি সর্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায় বলেন, 'এবার পূজা উপলক্ষে ছুটি বৃদ্ধি এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আমরা অভিভূত। এমন নিরাপত্তা ব্যবস্থা ইতোপূর্বে আর কখনোই হয়নি।'
পরিদর্শন শেষে পূজা মন্ডপে ভক্তদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন নাহিদ ইসলাম।
'কোথায় থামতে হবে বোঝা উচিত'
চট্টগ্রামের একটি পূজামন্ডপে ইসলামি সংগীত পরিবেশনকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হওয়া অপ্রীতিকর ঘটনায় হতাশা প্রকাশ করেছেন তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
বিকালে ঢাকার খামারবাড়ীতে সনাতন সমাজ কল্যাণ সংঘের পূজামন্ডপ পরিদর্শনের সময় তিনি বলেন, 'ধর্মীয় সম্প্রীতি বা ভালোবাসার একটা সীমা আছে। কখনই সেই সীমা লঙ্ঘন করা উচিত নয়। কোথায় থামতে হবে, সেটা আমাদের বোঝা উচিত। চট্টগ্রামে যে ঘটনা ঘটেছে, সঙ্গে সঙ্গেই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমরা যেন সকল ধর্ম চর্চার অধিকার বা স্বাধীনতার প্রতি সম্মান বজায় রাখি।'