ছাত্র-জনতার বিপস্নবের পর দেশছাড়া নেতাদের শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক।
শুক্রবার সকালে এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এই দাবি জানান। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক পার্টির উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এই সমাবেশ হয়।
ফারুক বলেন, 'হুট করে দেশে চলে আসবেন? টেলিফোনে কথা-বার্তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এতো সহজ নয়। বর্ডার খুব শক্ত। যারা গেছেন তাদের শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে হবে সরকারকে। কী করে গেল, কেমন করে গেলো, যারা বাংলাদেশে অনেক মায়ের বুক খালি করেছে তারা কি করে হিন্দুস্থানে পালিয়ে যায় সেই শ্বেতপত্র সরকারকে প্রকাশ করতে হবে।'
ভারতের উদ্দেশে সাবেক বিরোধী দলীয় প্রধান হুইপ জোরালো ভাষায় বলেন, 'বাংলাদেশের মানুষ গরিব হতে পারে, বাংলাদেশের মানুষের মন বড়, কলিজা অনেক বড়। আপনারা (ভারত) একাত্তর সালে আশ্রয় দিয়ে সহযোগিতা করেছেন বলে পিন্ডির জিঞ্জির থেকে দিলিস্নর জিঞ্জিরে আমাদেরকে আবদ্ধ করতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনাকে দিয়ে। বাংলাদেশের মানুষ আন্দোলন-সংগ্রাম করে ছাত্র-জনতার বিপস্নবের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের পতন ঘটিয়েছে। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে, দিনের ভোট আর রাতে দিবো না, এই আন্দোলন কোনোভাবে বৃথা যাবে না।'
ফারুক বলেন, 'অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এজন্য এসেছে সংবিধান মতো দেশ চলবে। এই সরকার এজন্য এসেছে আওয়ামী লীগের মতো, ছাত্র লীগ-যুব লীগের মতো ৩ লক্ষ থ্রি-নট-থ্রি রাইফেল দিয়ে কোনো দিনই সরকার বাংলাদেশে পরিচালিত হতে দেবে না।
বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে বিগত সরকারের আমলে দায়েরকৃত ৪০ লক্ষ মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানান ফারুক।
এসএম শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে এই সমাবেশে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির আবু তাহের, গণদলের এটিএম গোলাম মওলা চৌধুরী, বিএনপির শাহ মো. নেছারুল হক, আনোয়ার হোসেন বুলু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।