সংবাদ সংক্ষেপ
প্রকাশ | ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
লিবিয়া থেকে দেশে
ফিরেছেন ১৫০
বাংলাদেশি
ম যাযাদি ডেস্ক
লিবিয়ায় আটকে পড়া ১৫০ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। বৃহস্পতিবার বুরাক এয়ারের একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে তারা বাংলাদেশে পৌঁছেছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাস এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা-আইওএম এর সহযোগিতায় লিবিয়ার ত্রিপলী ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চল থেকে এসব বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে আনা হয়। অসহায় এসব বাংলাদেশি নাগরিককে বিমানবন্দরে অবতরণের পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম'র কর্মকর্তারা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান।
প্রত্যাবাসিত বাংলাদেশিদের বেশিরভাগই সমুদ্র পথে অবৈধভাবে ইউরোপ যাওয়ার উদ্দেশে মানবপাচারকারীদের প্ররোচনায় ও সহযোগিতায় লিবিয়ায় অনুপ্রবেশ করেন। তাদের অধিকাংশই লিবিয়াতে বিভিন্ন সময়ে অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। দেশে ফেরত আসার পর এ ভয়ংকর পথ পাড়ি দিয়ে আর যেন কেউ লিবিয়াতে না যায় এ বিষয়ে তাদের সচেতন হওয়ার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা সবাইকে আহ্বান জানান।
আইওএম'র পক্ষ থেকে লিবিয়া প্রত্যাবাসনকৃতদের প্রত্যেককে ৬ হাজার টাকা, কিছু খাদ্য ও উপহারসামগ্রী, মেডিকেল চিকিৎসা এবং প্রয়োজনে অস্থায়ী বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হয়।
লিবিয়ার বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে আটক বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপদে প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ দূতাবাস, ত্রিপোলী এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা-আইওএম একসঙ্গে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
রাজধানীতে পোশাক
শ্রমিকের ঝুলন্ত
মরদেহ উদ্ধার
ম যাযাদি ডেস্ক
রাজধানীর ভাষানটেকের নতুন বস্তি এলাকার একটি বাসায় মোছা. রিয়া আক্তার (১৫) নামে এক পোশাক শ্রমিকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
করা হয়েছে।
বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। তাকে উদ্ধার করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ভাষানটেক থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রেবেকা সুলতানা জানান, সকাল
সাড়ে ৮টার দিকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল জরুরি বিভাগ থেকে মরদেহ উদ্ধার করি। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি জানান, আমরা স্বজনের কাছে জানতে পেরেছি নিহত রিয়া পোশাক শ্রমিক ছিলেন। রাতে বাসায় এসে তার ঘরে গিয়ে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় দেখতে পান। পরে তাকে উদ্ধার করে কুর্মিটোলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। কি কারণে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে তা জানার চেষ্টা চলছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃতু্যর সঠিক কারণ জানা যাবে।