বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১
কমোডর মনিরুল রিমান্ডে

সাধন চন্দ্র, নজিবুর ও আমিনুল কারাগারে

যাযাদি ডেস্ক
  ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
সাধন চন্দ্র, নজিবুর ও আমিনুল কারাগারে

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর তেজগাঁও থানার কারওয়ান বাজার এলাকায় ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থী রমিজ উদ্দিন রূপকে (২১) গুলি করে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারকে জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খানের জামিন না মঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

এছাড়া রাজধানীর গুলশানে বাহাদুর হোসেন মনির নামে এক কিশোর নিহতের ঘটনায় করা মামলায় জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা বর্ডার উইংয়ের সাবেক পরিচালক কমোডর মনিরুল ইসলামের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আদালত সূত্রে জানা যায়, সাত দিনের রিমান্ড শেষে বৃহস্পতিবার সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে মামলার

তদন্ত কর্মকর্তা তেজগাঁও থানার পরিদর্শক মো. সোহেল রানা তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অপরদিকে তার আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসান তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে গত ৩ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ। পরদিন গত ৪ অক্টোবর তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

\হবৈষম্যবিরোরধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগস্ট রাজধানীর তেজগাঁও থানার কারওয়ান বাজার এলাকায় গুলিতে নিহত হন ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থী রমিজ উদ্দিন রূপ। এ ঘটনায় তার বাবা এ কে এম রকিবুল আহম্মেদ বাদী হয়ে তেজগাঁও থানায় মামলা করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২২৩ জনকে আসামি করা হয়।

সাবেক সচিব নজিবুর ও

আমিনুল কারাগারে

এদিকে যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খানের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

তিন দিনের রিমান্ড শেষে বৃহস্পতিবার তাদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অপরদিকে তাদের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান তাদের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এ মামলায় সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক তাদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আগের দিন ৬ অক্টোবর রাজধানীর রমনা এলাকা থেকে নজিবুর রহমানকে ও বনানী থেকে আমিনুল ইসলাম খানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপি কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী মহাসমাবেশ ডাকে। একই দিনে আওয়ামী লীগ পাল্টা সমাবেশ ডাকে। বিএনপির ঢাকার মহাসমাবেশে হামলা হয়। এতে অনেক বিএনপির নেতাকর্মী আহত হন। যুবদল নেতা শামীম মারা যান। এ ঘটনায় গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।

কমোডর মনিরুল

৩ দিনের রিমান্ডে

অন্যদিকে বৈষম্যবিরোরধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর গুলশানে বাহাদুর হোসেন মনির নামে (১৭) এক কিশোর নিহতের ঘটনায় করা মামলায় জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা বর্ডার উইংয়ের সাবেক পরিচালক কমোডর মনিরুল ইসলামের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে দশ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। অন্যদিকে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেন তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে ৯ অক্টোবর রাজধানীর কোতোয়ালি থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১৯ জুলাই গুলশান থানার প্রগতি সরণির শাহজাদপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে আন্দোলন চলাকালে আমার ছোট ছেলে মো. বাহাদুর হোসেন মনির রাস্তা পার হয়ে বাসায় যাওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়। ওই দিন আমার মোবাইলে অপরিচিত একটি নম্বরে ফোন আসে এবং অপর প্রান্ত থেকে বলে মো. বাহাদুর হোসেন মনির নামের এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রাস্তার পাশে পড়ে আছে। আমি স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আমার ছেলে বাহাদুর হোসেন মনিরকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃতু্য ঘোষণা করেন। পরে ৩০ সেপ্টেম্বর নিহত বাহাদুর হোসেন মনিরের বাবা আবু জাফর বাদী হয়ে গুলশান থানায় একটি মামলা করেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে