উত্তরা পশ্চিম ও তেজগাঁও থানা আ'লীগের দুই নেতা রিমান্ডে
প্রকাশ | ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি রিপোর্ট
গণ-আন্দোলনের মধ্যে হত্যার অভিযোগে আলাদা দুটি মামলায় উত্তরা পশ্চিম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মনোয়ার ইসলাম চৌধুরী রবিন ও তেঁজগাও থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মাওলা ওরফে মালা চৌধুরীকে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
শনিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক মনোয়ারের তিন দিন ও গোলাম মাওলার দুই দিন রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন।
আদালতে উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই মোহাম্মদ নাজমুল হাসান ১০ দিন রিমান্ডের আবেদন করেন মনোয়ারের। আইনজীবী আমিনুল ইসলাম রিজভী জামিন আবেদনে বলেন, 'এজাহারে তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই।'
মনোয়ারের চিকিৎসাপত্র আদালতে জমা দিয়ে তার হৃদরোগসহ নানা অসুখের কথা জানিয়ে জামিন চান আইনজীবী আমিনুল ইসলাম। শুনানি নিয়ে ঢাকা মহানগর হাকিম আরিফুর রহমান তার তিন দিন রিমান্ডের আদেশ দেন।
অপরদিকে গোলাম মাওলার সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা তেজগাঁও থানার এসআই মো. আমীর হামজা। রাষ্ট্রপক্ষে সহযোগিতার জন্য শুনানি করেন- আইনজীবী মো. কাইয়ুম হোসেন নয়ন। আর রিমান্ডের বিরোধিতা করে জামিন আবেদন করেন আইনজীবী মো শরিয়তুলস্নাহ।
শুনানি শেষে গোলাম মাওলাকে দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন ঢাকা মহানগর হাকিম মো. শরীফুর রহমান।
উত্তরার নিজ বাসা থেকে শুক্রবার দুপুরে মনোয়ারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে গত ৫ আগস্ট উত্তরায় সানজিদ হোসেন মৃধা (১৬) নামে এক তরুণ নিহতের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
সরকার পতনের পর উত্তরা পশ্চিম থানায় গত ১৯ সেপ্টেম্বর ওই মামলা করেন সানজিদ হোসেনের বাবা মো. কবির হোসেন।
এজাহারে তিনি বলেন, 'গত ৫ আগস্ট সকাল থেকে উত্তরার বিভিন্ন সড়কসহ তিন নম্বর সেক্টরের রবীন্দ্র সরণির আমির কমপেস্নক্সের উত্তর পাশে অবস্থান করছিলেন ছাত্র-জনতা। সেদিন বিকালে এজাহারনামীয় আসামিরা মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দাঙ্গা চালিয়ে ছাত্র-জনতার ওপর অতর্কিতভাবে গুলি চালায়।
এ সময় সানজিদ হোসেন মৃধাসহ (১৬) অনেকে গুলিবিদ্ধ ও মারাত্মকভাবে আহত হন। সানজিদের গলার নিচে গুলি লেগে পেছন দিক দিয়ে বের হয়ে যায়। পরে উত্তরার ক্রিসেন্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।'
মনোয়ার ইসলাম চৌধুরী রবিন এজাহারের ২১ নম্বর আসামি।
অপরদিকে আন্দোলনের মধ্যে গত ৪ আগস্ট ফার্মগেট ফুটব্রিজের নিচে গুলিতে কবি নজরুল কলেজের ছাত্র মো. তাহিদুল ইসলাম নিহতের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় তেজগাঁওয়ের আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম মাওলাকে।
মামলায় এজাহারে বলা হয়, গত ৪ আগস্ট ফার্মগেট ফুটব্রিজের নিচে সহপাঠীদের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যোগ দেন তাহিদুল। বিকাল ৪টার দিকে গুলিতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওই ঘটনায় পর তেজগাঁও থানায় দায়ের করা মামলায় গোলাম মাওলাকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।