বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, অন্তর্র্বর্তী সরকারে যেসব উপদেষ্টা আছেন তারা এখনো অনেকেই সঠিক তথ্য খুঁজে পাচ্ছেন না। এখনো তাদের পাশে আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মারা বসে আছেন। যারা শেখ মুজিব, শেখ হাসিনার ছবি ব্যবহার করেন, তারাই এই সরকারবিরোধী প্রেতাত্মা। এদেরকে মন্ত্রণালয় থেকে তাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, তারেক রহমান বারবার বলেছেন, এই বিপস্নবী সরকারকে যেন কেউ অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে না ফেলতে পারে সেই ব্যবস্থা সবাইকেই করতে হবে।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর শিশু কল্যাণ পরিষদে বাংলাদেশ গ্রাম পুলিশ বাহিনীর উদ্যোগে এক স্মরণ সভা ও সাংগঠনিক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ফারুক বলেন, বাংলাদেশে শেখ হাসিনা যে লুট করেছে, অবিচার করেছে সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে তার বিচার বাংলার মাটিতে শুরু হয়েছে, তার বিরুদ্ধে পাঁচশ' বা ৫ হাজার মামলা বড় বিষয় না, আমাদের দাবি তাকে বাংলাদেশে এনে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
তিনি বলেন, অন্তর্র্বর্তী সরকারের কাছে চাওয়া পাওয়া একটাই খেটে খাওয়া মানুষের পক্ষে কথা বলতে হবে, আমাদের কথা বলার অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার পালন করার অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। বাংলাদেশে গত ১৬ বছরে ৯২ হাজার কোটি টাকা যারা লুট করে নিয়েছে এমন ব্যক্তিরা যেন বাংলাদেশে আর জন্মগ্রহণ করতে না পারে। আমরা আর সালমান এফ রহমানকে দেখতে চাই না। ইনুর মতো পাজি লোককে আর দেখতে চাই না। বিপস্নব বড়ুয়াদের মতো টাউটদের আর দেখতে চাই না।
ফারুক বলেন, অন্তর্র্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বাংলাদেশকে উজ্জ্বল করেছেন। এই লোকটিকেও শেখ হাসিনা বলেছিলেন পদ্মা সেতু থেকে টুস করে ফেলে দেয়া হবে। এই লোকটাকেও ১৪ তলা পর্যন্ত পায়ে হেঁটে লিফট ছাড়া উঠতে হয়েছে। শেখ হাসিনা লিফট বন্ধ করে দিয়েছে।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের সদস্যসচিব মজিবুর রহমান, ওলামা দলের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন, মৎসজীবী দলের নেতা ইসমাইল হোসেন সিরাজী প্রমুখ।