বজ্রপাতে মৃতু্যর ৪৯ শতাংশই কৃষিক্ষেতে

প্রকাশ | ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
দেশে চলতি বছরের প্রথম আট মাসে বজ্রপাতে ২৯৭ জনের মৃতু্য হয়েছে বলে জানিয়েছে সেভ দ্য সোসাইটি অ্যান্ড থান্ডারস্টর্ম অ্যাওয়ারনেস ফোরাম। এর মধ্যে নিড়ানি, ধান ও ঘাস কাটার মতো কাজে গিয়ে কৃষিক্ষেতে মারা গেছে ১৫২ জন, যা মোট মৃতু্যর ৪৮ দশমিক ৮২ শতাংশ। এর বাইরে গরু আনতে গিয়ে ১৮ জন, মাছ ধরার সময় ৫২ জন, ঘরে থাকাকালীন ২৭ জন, ফাঁকা রাস্তায় চলাচলের সময় ১৫ জন, বাড়ির উঠানে খেলার সময় ১৪ জন শিশু-কিশোর, আম কুড়ানোর সময় ১১ জন, পাথর তোলার সময় ৩ জন এবং গাড়িতে থাকার সময় একজনের মৃতু্য হয়েছে। বজ্রপাত বিষয়ক সচেতনতামূলক সংগঠনটি শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, মৃতদের মধ্যে ২৪২ জন পুরুষ, ১১ জন শিশু আর ৫৫ জন নারী আছে। নারীদের মধ্যে ৬ জন কিশোরী আর পুরুষের মধ্যে ১৭ জন কিশোর রয়েছে। মাসওয়ারি হিসাবে ফেব্রম্নয়ারি মাসে মৃতু্য হয়েছে ১ জনের, মার্চে ৯ জন, এপ্রিলে ৩১ জন, মে মাসে ৯৬ জন, জুনে ৭৭ জন, জুলাইয়ে ১৯ জন, আগস্টে ১৭ জন ও সেপ্টেম্বর মাসে ৪৭ জনের মৃতু্য হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৩ জন করে মারা গেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ ও জয়পুরহাটে; ফেনীতে এই সংখ্যা ১২। আর কক্সবাজার ও গাইবান্ধায় মারা গেছে ১০ জন করে। চলতি বছরের ফেব্রম্নয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত বজ্রাঘাতে ৭০ জন আহত হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। পাঠ্য বইয়ে বজ্রপাত সচেতনতার অধ্যায় যুক্ত করা, গভ. ইনফোর মাধ্যমে বজ্রপাতের পূর্বাভাস জানানো, কৃষক ও জনসাধারণের মাধ্যমে সচেতনতা বাড়াতে সভা, সেমিনার ও প্রশিক্ষণের আয়োজন করা, মাঠে মাঠে আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি এবং আহতদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়ার দাবি জানিয়েছে সেভ দ্য সোসাইটি অ্যান্ড থান্ডারস্টর্ম অ্যাওয়ারনেস ফোরাম। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক রাশিম মোলস্না বলেন, 'দেশের বিভিন্ন পত্রিকা; অনলাইন, টিভি স্ক্রল, আমাদের কিছু স্বেচ্ছাসেবক আছে, তারা আমাদের তথ্য দেয়- সেগুলোর ভিত্তিতে পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়।' 'শুধু সচেতনতার অভাবেই অনেক মানুষের মৃতু্য হচ্ছে। কিন্তু সরকারে পক্ষ থেকে তেমন কোনো কার্যকর সচেতনতামূলক কার্যক্রম চোখে পড়ছে না।'