ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে আরও ৩১৭ রোগী
প্রকাশ | ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
দেশে গত এক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা না গেলেও ডেঙ্গু শনাক্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৩১৭ জন। ফলে চলদি বছর ডেঙ্গুতে মৃতু্য ১৭৭ জনে অপরিবর্তিত রয়েছে। আর নতুন আক্রান্তদের নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪ হাজার ৪৩৮ জনে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু নিয়ে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৬৪ জন।
এছাড়া ঢাকা বিভাগে ৫০ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩৮ জন, খুলনা বিভাগে ২৩ জন, রাজশাহী বিভাগে ৭ জন, রংপুর বিভাগে ১০, বরিশাল বিভাগে পাঁচজন এবং সিলেট বিভাগে একজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ৩ হাজার ৪৭৩ জন। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে রয়েছেন ১ হাজার ৭৫৬ জন। ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ১ হাজার ৭১৭ জন।
চলতি বছর ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মধ্যে ১৯ হাজার ৪৯১ জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলার। ঢাকার দুই মহানগর এলাকার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৪ হাজার ৯৪৭ জন।
চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে সেপ্টেম্বর মাসে। ওই মাসে ১৯ হাজার ২৪১ জন হাসপাতালে ভর্তির পাশাপাশি ৮৩ জনের মৃতু্য হয়েছে। আর চলতি অক্টোবরের প্রথম চার দিনে ৩ হাজার ৫০০ জন ভর্তি হয়েছেন, মৃতু্য হয়েছে ১৪ জনের।
এর আগে জানুয়ারি মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ১ হাজার ৫৫ জন, যাদের মধ্যে ১৪ জনের মৃতু্য হয়েছে। ফেব্রম্নয়ারি মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয় ৩৩৯ জন, যাদের মধ্যে মৃতু্য হয়েছে তিনজনের।
মার্চ মাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩১১ জন, মারা গেছেন পাঁচজন। এপ্রিল মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫০৪ জন, মৃতু্য হয়েছে দুইজনের। মে মাসে ৬৪৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, মৃতু্য হয়েছে ১২ জনের। জুন মাসে ৭৯৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, মৃতু্য হয়েছে আটজনের।
জুলাই মাসে ২ হাজার ৬৬৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হন, তাদের মধ্যে ১২ জনের মৃতু্য হয়। আগস্টে ৬ হাজার ৫২১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল, যাদের মধ্যে ২৭ জনের মৃতু্য হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃতু্যর তথ্য রাখে ২০০০ সাল থেকে। এর মধ্যে ২০২৩ সালে এ রোগ নিয়ে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি ১৭০৫ জনের মৃতু্যও হয় ওই বছর।