বাংলাদেশের পুলিশ সংস্কারে সহায়তা করবে ইতালি ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে রাষ্ট্রদূত
প্রকাশ | ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি রিপোর্ট
ঢাকায় নিযুক্ত ইতালির রাষ্ট্রদূত অ্যান্তোনিও আলেসান্দ্রো বলেছেন, ইতালি বাংলাদেশের পুলিশ সংস্কারে সহায়তা এবং দেশটিতে আনুষ্ঠানিক অভিবাসনের জন্য একসঙ্গে কাজ করবে।
বৃহস্পতিবার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত একথা বলেন।
আলোচনায় ইতালিতে নিরাপদ, সংগঠিত ও নিয়মিত অভিবাসন, অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সহযোগিতা এবং পুলিশ সংস্কার প্রাধান্য পেয়েছে। নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে প্রধান উপদেষ্টা ও ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির মধ্যে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার এক সপ্তাহ পর এ সাক্ষাৎ হলো।
জাতিসংঘের বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশ থেকে ইতালিতে বড় আকারে আনুষ্ঠানিক অভিবাসনের আহ্বান জানান। মেলোনি বলেন, উভয় দেশেরই অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে জোর প্রচেষ্টা চালানো উচিত। তিনি বলেন, 'আমরা বাংলাদেশের অভিবাসীদের রক্ষা করতে চাই। আমাদের আরও উন্নত নিয়মিত অভিবাসনের জন্য কাজ করতে হবে।'
ইতালির রাষ্ট্রদূত অন্তর্র্বর্তী সরকারের সংস্কার প্রচেষ্টার প্রশংসা করে নিরাপত্তা বাহিনীর প্রশিক্ষণসহ পুলিশ সংস্কারে ইতালির
সহায়তার প্রস্তাব দেন। তিনি বলেন, 'আমাদের পুলিশ বেশ কয়েকটি দেশে এ সহায়তা দিয়ে থাকে।'
রাষ্ট্রদূত আশা প্রকাশ করেন, দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য 'শিগগিরই ঘুরে দাঁড়াবে'। তিনি বলেন, বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য প্রায় ২.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
তিনি জানান, ইতালি দূতাবাসও শিগগিরই একটি চলচ্চিত্র উৎসব ও একটি ব্যালে অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।
ডি-৮ সম্মেলনে আমন্ত্রণ
এদিকে, চলতি বছরের শেষ দিকে অনুষ্ঠেয় ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য অন্তর্র্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে মিশর।
বাংলাদেশে মিশরের রাষ্ট্রদূত ওমর মোহি আলদিন আহমেদ ফাহমি বুধবার পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
মিশর আয়োজিত অরগানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশনের এই শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশ, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, নাইজেরিয়া, ইরান, পাকিস্তান ও তুরস্কসহ ৮টি উন্নয়নশীল দেশের শীর্ষ নেতাদের একত্রিত করবে।
১৯৯৭ সালের ১৫ জুন ইস্তাম্বুল ঘোষণার মাধ্যমে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে উন্নয়ন সহযোগিতা বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে ডি-৮ গ্রম্নপটি যাত্রা শুরু করে।
ডি-৮ এর প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল বিশ্ব অর্থনীতিতে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অবস্থানকে শক্তিশালী করা, বাণিজ্যের নতুন সুযোগ সৃষ্টি করা, আন্তর্জাতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ বাড়ানো এবং সদস্য দেশগুলোর জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন ইত্যাদি।
রাষ্ট্রদূত ফাহমি বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় মিশরের চলমান সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে জাতির অব্যাহত অগ্রগতির প্রতি আস্থা প্রকাশ করেন।
ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে অর্থনৈতিক সহযোগিতা, বাণিজ্য বৈচিত্র্য ও উদ্ভাবনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে আলোকপাত করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ ছাড়া, সদস্য দেশগুলো বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং পারস্পরিক প্রবৃদ্ধি উৎসাহিত করতে একসঙ্গে কাজ করবে।