অন্তর্র্বর্তী সরকারের মেয়াদ ২ বছর বা তার কম চান ৫৩ শতাংশ ভোটার

প্রকাশ | ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
দেশের ৯৭ শতাংশ ভোটার অন্তর্র্বতী সরকারের প্রতি আস্থাশীল। এই সরকারের মেয়াদ দুই বছর বা তার কম হওয়া উচিত বলে মনে করেন ৫৩ শতাংশ ভোটার। আর ৪৭ শতাংশ মনে করেন, এই সরকারের মেয়াদ তিন বছর বা তার বেশি হওয়া উচিত। বেসরকারি নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (এনএসইউ) সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড গভর্ন্যান্স (এসআইপিজি) পরিচালিত এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে 'জাতীয় জরিপ ২০২৪: বাংলাদেশের অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারের কাছে নাগরিকদের প্রত্যাশা' শীর্ষক এই জরিপের ফলাফল প্রকাশ করা হয়। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, গত ৯-১৯ সেপ্টেম্বর দেশের ৮টি বিভাগের ১৭টি জেলায় মোট ১ হাজর ৮৬৯ জনের ওপর জরিপটি করা হয়। উত্তরদাতাদের বৃহত্তম অংশ (৬৩%) মধ্যবয়সি (২৮-৫০ বছর)। ২২ শতাংশ জেনারেশন জেড (১৮-২৭ বছর)। ১৪ শতাংশের বয়স ৫০ বছরের ওপর। এ ছাড়া জরিপের উত্তরদাতাদের ৫৪ শতাংশ শহরাঞ্চলের। ৪৬ শতাংশ গ্রামীণ অঞ্চলের। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক আকরাম হোসেন জরিপের তথ্য ও ফলাফল উপস্থাপন করেন। ফলাফলে দেখা গেছে, জরিপে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের ৪৬ শতাংশ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততার বিষয়ে অনিশ্চিত আর ৫৪ শতাংশ মূলধারার রাজনীতিতে তাদের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এ ছাড়া ৯৬ শতাংশ প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সীমিত করাকে সমর্থন করে। ৪৬ শতাংশ বিশ্বাস করে সংবিধানের উলেস্নখযোগ্য পরিবর্তন প্রয়োজন এবং ১৬ শতাংশ সম্পূর্ণ নতুন সংবিধানের পক্ষে তাদের মত জানিয়েছেন। এ ছাড়া উত্তরদাতাদের ৯৬ শতাংশ প্রধানমন্ত্রী পদে এক ব্যক্তি দুই মেয়াদের বেশি থাকতে পারবেন না-এমন বিধান করাকে সমর্থন করে। জরিপ সম্পর্কে বলা হয়, চলতি বছরের গত ৯ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর দেশের আটটি বিভাগের ১৭টি জেলায় মোট ১৮৬৯ জনের ওপর এ জরিপ করা হয়। এটি জুলাই অভু্যত্থান পরবর্তী সর্বপ্রথম সরাসরি পরিচালিত একটি জাতীয় প্রতিনিধিত্বমূলক জরিপ? এ জরিপের উত্তরদাতাদের বৃহত্তম অংশ (৬৩ শতাংশ) মধ্যবয়সি যাদের বয়স ২৮ থেকে ৫০ বছর।? ২২ শতাংশ জেনারেশন জেড (১৮-২৭) বছর এবং ১৪ শতাংশের বয়স ৫০ বছরের ওপর।? এ ছাড়া জরিপের উত্তরদাতাদের ৫৪ শতাংশ শহর অঞ্চল এবং ৪৬ শতাংশ গ্রামীণ অঞ্চলের অনুষ্ঠানে নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ও সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, জনগণ নির্বাচনী সংস্কার চায় যাতে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।?এটি গুরুত্বপূর্ণ আমাদের নির্বাচনী ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে, এটিকে নির্বাসনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।? তিনি আরও বলেন, আমাদের দায়িত্ব হলো কারিগরি কিছু সুপারিশ করা।?আমি যেই কমিশনের সঙ্গে যুক্ত সেই কমিশনের কাজ হবে কীভাবে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজন করা যায়।?তার কিছু টেকনিক্যাল সলিউশন আমাদের ও বাইরের অভিজ্ঞতার আলোকে এবং জনগণের সঙ্গে বা বিভিন্ন স্টেক হোল্ডারের সঙ্গে আলোচনা করে কি কি আইন পরিবর্তন করা দরকার। একই সঙ্গে নির্বাচনী ব্যবস্থার সঙ্গে যেসব প্রতিষ্ঠান জড়িত আছে তাদের কি কি পরিবর্তন দরকার। সাংবিধানিক কি কি সংস্কার দরকার এগুলো সম্পর্কে আমরা সুপারিশ দিতে পারি। আমরা আশা করছি আমাদের সুপারিশ পাওয়ার পর সরকার রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বসে একটা ঐকমত্যে পৌঁছার চেষ্টা করবে।?এবং একটি রোডম্যাপ সৃষ্টি হবে ও নির্বাচনের সময়কাল নির্ধারিত হবে।? তিনি আরও বলেন, একটা বিষয় সুস্পষ্টভাবে মানুষের উপলব্ধিতে ছিল সেটি হলো বিচার। যারা এত বছর থেকে সব অন্যায় করেছে, যারা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে, যারা ফৌজদারি অপরাধ করেছে, আর্থিক অপরাধ করেছে, নির্বাচনী অপরাধ করেছে তাদের বিচারের কথা অনেকে সুস্পষ্টভাবে বলছেন।? অনেকের মনেও ছিল।? এসআইপিজির উপদেষ্টা অধ্যাপক সালাহউদ্দিন এম. আমিনুজ্জামান বলেন, ৯৭ শতাংশ মানুষ বর্তমান সরকারের প্রতি আস্থা রেখেছে। সরকারকে বুঝতে হবে, তাদের সংস্কার করার সুযোগ রয়েছে। নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক নাভিন মুর্শিদ বলেন, মানুষের মধ্যে অনেক আস্থা ও আকাশচুম্বী প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে। এই প্রত্যাশার অর্থ হলো, সরকারের দায়িত্ব। মানুষ ভরসা করতে চায়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও দর্শন বিভাগের অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান। গবেষণার তথ্যে বলা হয়, নাগরিকের অন্তর্ভুক্ত ও সরকারের বর্তমান অবস্থান নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে আগস্ট সেপ্টেম্বর তাদের বন্যা ব্যবস্থাপনার প্রশংসা করেছেন।? পুলিশ, শিক্ষা ব্যবস্থা, রাজনৈতিক ব্যবস্থা এবং নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কারের ওপর নাগরিকদের আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ পেয়েছে। ু