বুধবার, ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১৮ আশ্বিন ১৪৩১

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ

যাযাদি ডেস্ক
  ০২ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান -ফোকাস বাংলা

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সাক্ষাৎ করেছেন।

ফিলিস্তিনের পক্ষে সমর্থন :এদিকে, ফিলিস্তিনি জনগণের স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলাদেশের সমর্থন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূত ইউসুফ রামাদান মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তাকে এ কথা বলেন অন্তর্র্বর্তী সরকারের প্রধান।

প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর জানিয়েছে, বৈঠকে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রতি বৈশ্বিক সমর্থন, গাজায় গণহত্যা ও মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনাসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে প্রধান উপদেষ্টার দেওয়া ভাষণের প্রশংসা করেন ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত।

গত ২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, 'ফিলিস্তিনের জনগণের ওপর চলমান নৃশংসতা, বিশেষত নারী এবং শিশুদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যে নিষ্ঠুরতা বিশ্ব দেখছে, তা থেকে নিস্তারের জন্য বাংলাদেশ অনতিবিলম্বে সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাচ্ছে। দ্বি-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানই মধ্যপ্রাচ্যে টেকসই শান্তি আনতে পারবে, তাই জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সবাইকে এর বাস্তবায়নের জন্য এখনই উদ্যোগ নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।'

সেই প্রসঙ্গ ধরে ইউসুফ রামাদান বলেন, ইউনূসের ভাষণ ছিল 'সময়োপযোগী' এবং ফিলিস্তিন প্রশ্নে 'অতি প্রয়োজনীয়' বিষয়ে তিনি আলোকপাত করেছেন।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস তার ভাষণে ফিলিস্তিন প্রশ্নে স্পষ্ট বক্তব্য দিয়েছেন বলে প্রশংসা করেন রাষ্ট্রদূত।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ও এর জনগণের প্রতি বাংলাদেশের অব্যাহত সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। ফিলিস্তিনিরা তাদের কাঙ্ক্ষিত স্বাধীন রাষ্ট্রের মর্যাদা পাবে, সেই আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, 'আমরা ফিলিস্তিনি জনগণের পক্ষে সমর্থন অব্যাহত রাখব।'

রাষ্ট্রদূত বলেন, অন্তত ৬০ জন ফিলিস্তিনি বাংলাদেশের মেডিকেলে পড়ালেখা শেষ করে চিকিৎসক হিসেবে এখন গাজায় রোগীদের সেবা দিচ্ছেন। এ ছাড়া আরও দুই শতাধিক ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের অপেক্ষায় রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে