সংস্কারের সুপারিশমালা তুলে ধরবে বিএনপি : সালাহউদ্দিন

প্রকাশ | ০১ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি প্রয়াত জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ -সংগৃহীত
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, অন্তর্র্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রমে সুনির্দিষ্টভাবে সুপারিশমালা তুলে ধরবে দল। সোমবার জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার গণবিপস্নবের পর যে আকাঙ্ক্ষার সৃষ্টি হয়েছে, সেটিকে ধারণ করে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে। তিনি আরও বলেন, অন্তর্র্বর্তী সরকার রাষ্ট্র সংস্কারে ছয়টি কমিশন গঠন করেছে। আশা করছি তারা তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবেন। বিএনপিও এ সংস্কার কার্যক্রমে সুনির্দিষ্টভাবে সুপারিশমালা তুলে ধরবে। পতিত সরকারের দোসররা এখনো সব জায়গায় বসে আছে মন্তব্য করে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত করা হচ্ছে। বিদেশে বসে অস্থিরতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র চলছে। 'কিন্তু গণ-আন্দোলনের পর যে আকাঙ্ক্ষার সৃষ্টি হয়েছে, তাতে জাতিকে বিভক্ত করা যাবে না। সব ষড়যন্ত্র ভেসে যাবে', যোগ করেন বিএনপির এ নেতা। তিনি আরও বলেন, দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় থাকবে এটাই চায় বিএনপি। সবাই বাংলাদেশি, এখানে কেউ সংখ্যালঘু নেই, সবার অধিকার এক, সবাই বাংলাদেশি। ভারতকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে : দুদু এদিকে, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, গণমানুষের তীব্র আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেছেন। ভারতকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা গণতন্ত্রের স্বপক্ষে নাকি ফ্যাসিবাদ যিনি গণহত্যা চালিয়েছেন, গণতন্ত্র হত্যা করেছেন, স্বাধীনতা বিপন্ন করেছেন তার পক্ষ নেবে। সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের উদ্যোগে সীমান্তে হত্যা বন্ধ, ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিচার ও পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার দাবিতে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। শামসুজ্জামান দুদু বলেন, আমরা বিস্মিত হয়েছি, অন্তর্র্বর্তী সরকারের ডক্টর ইউনুস জাতিসংঘে সাধারণ অধিবেশনে বক্তব্য দিতে গিয়েছিলেন; সেখানে তার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশ বৈঠক করেছে। কিন্তু আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত যারা আমাদেরকে বন্ধু দাবি করে, তারা পালিয়ে এসেছে। ডক্টর ইউনূসের সঙ্গে বসেনি। তার মানে তারা গণতন্ত্রের সঙ্গে বসেনি। যে দেশ '৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ করে স্বাধীন করেছে; '৯০-এ, ২০২৪ সালে গণতন্ত্রের জন্য, দাবি আদায়ের জন্য রক্ত দিতে পারে তার পক্ষে তারা (ভারত) দাঁড়ায়নি। দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, ইমরান সালেহ প্রিন্স, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, জাগপার সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, কৃষকদলের নেতা সাদি, মোখতার আকন্দ প্রমুখ।