শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১

দেশে মোট মৃতু্যর ৩৪ শতাংশই ঘটে হৃদরোগে

বিশ্ব হার্ট দিবস পালিত
যাযাদি রিপোর্ট
  ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
দেশে মোট মৃতু্যর ৩৪ শতাংশই ঘটে হৃদরোগে

বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায় হৃদরোগে, যার অন্যতম কারণ উচ্চ রক্তচাপ। আর বাংলাদেশে মোট মৃতু্যর ৩৪ শতাংশই ঘটে হৃদরোগে, যার অধিকাংশই প্রতিরোধযোগ্য। তৃণমূলপর্যায়ে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকাংশেই কমানো সম্ভব।

রোববার সকালে বিশ্ব হার্ট দিবস উপলক্ষে গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) আয়োজিত 'উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগ ঝুঁকি' শীর্ষক এক ওয়েবিনারে জনস্বাস্থ্য ও হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের আলোচনায় এসব তথ্য উঠে আসে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য 'ইউজ হার্ট ফর অ্যাকশন'। সারাদেশে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হয়।

আলোচকরা বলেন, তৃণমূলপর্যায়ে সবার জন্য উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করতে সারাদেশে উচ্চ রক্তচাপের রোগীর সংখ্যা নির্ণয় করতে হবে। এ জন্য দেশব্যাপী উচ্চ রক্তচাপের প্রকোপ সঠিকভাবে জানতে অঞ্চল, বয়স এবং লিঙ্গভেদে প্রায়োগিক গবেষণার প্রয়োজন।

ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউটের ইপিডেমিওলজি অ্যান্ড রিসার্চ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী বলেন, 'বাংলাদেশে ৪০ শতাংশেরও বেশি অকালমৃতু্য হৃদরোগ ঘটিত এবং এটি কমানোর সবচেয়ে কার্যকর উপায় উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ।'

ওয়েবিনারে স্বাস্থ্য খাত সংস্কারবিষয়ক বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সদস্যসচিব এবং জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. আব্দুলস্নাহ আল শাফি মজুমদার বলেন, 'উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে অন্যান্য কাজের পাশাপাশি সচেতনতামূলক কার্যক্রম বৃদ্ধি করতে হবে। এছাড়া উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস অপরিহার্য।'

ওয়েবিনারে জানানো হয়, বাংলাদেশে প্রতি ৪ জনে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত। এদের মধ্যে প্রতিবছর ২ লাখ ৭৩ হাজার মানুষ হৃদরোগে মৃতু্যবরণ করে। যার ৫৪ শতাংশের জন্য দায়ী উচ্চ রক্তচাপ। এমনকি বাংলাদেশে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্তদের (৩০-৭৯ বছর বয়সি) অর্ধেকই জানে না যে তাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে।

ওয়েবিনারে আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের, গেস্নাবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর- ৬

জিএইচএআই-এর বাংলাদেশ কান্ট্রি লিড মুহাম্মদ রূহুল কুদ্দুস, ব্র্যাক জেমস পি গ্রান্টস স্কুল অব পাবলিক হেলথের অধ্যাপক ডা. মলয় কান্তি মৃধা, বারডেম জেনারেল হাসপাতালের খাদ্য ও পুষ্টি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান শামসুন্নাহার নাহিদ। ওয়েবিনারটি সঞ্চালনা ও বাংলাদেশে উচ্চ রক্তচাপজনিত হৃদরোগের প্রকোপ ও করণীয় সম্পর্কে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রজ্ঞার কো-অর্ডিনেটর সাদিয়া গালিবা প্রভা। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ এই ওয়েবিনারে অংশ নেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে