অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢল

পাঁচ জেলার নিম্নাঞ্চল পস্নাবিত আতঙ্কে নদীপাড়ের মানুষ

হ ভেঙে গেছে রাস্তাঘাট, ব্রিজ ও কালভার্ট, ডুবে আছে আমন ধান ও সবজি ক্ষেত, ভেসে গেছে ছোট ছোট পুকুরের মাছ, দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির অভাব

প্রকাশ | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে দেশের উত্তরবঙ্গের ৫ জেলার নিম্নাঞ্চল পস্নাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজার হাজার পরিবার। পাশাপাশি ভেঙে গেছে রাস্তাঘাট, ব্রিজ ও কালভার্ট। ডুবে আছে আমন ধান ও সবজি ক্ষেত। ভেসে গেছে ছোট ছোট পুকুরের মাছ। এ ছাড়া নলকূপ ডুবে দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির অভাব। রোববার পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপর ওঠার সঙ্গে সঙ্গে অন্য নদীর পানিও বেড়ে যায়। স্থানীয়রা জানান, লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার নিম্নাঞ্চল পস্নাবিত হওয়ায় বন্যা আতঙ্কে আছেন এসব জেলার বাসিন্দা। পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি সমতল বাড়ছে। তিস্তা নদীর পানি সমতল রংপুর জেলার কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি সমতল বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। লালমনিরহাটে পানিবন্দি ১৫ হাজার পরিবার : আমাদের লালমনিরহাট প্রতিনিধি জানান, গজলডোবা বাঁধ দিয়ে প্রায় ১১ হাজার কিউসেক পানি ভারত ছেড়ে দেওয়ায় বসতবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। এতে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে নদীপাড়ের মানুষ। রোববার সকাল ৬টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ১৭ মিটার। যা বিপৎসীমার (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ মিটার) ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ফলে নদী তীরবর্তী নিম্ন অঞ্চলগুলোয় পানি ঢুকে পড়ে পস্নাবিত হয়েছে। এরই মধ্যে পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম, হাতীবান্ধা উপজেলার সিঙ্গিমারী, ডাউয়াবাড়ী, পাটিকাপাড়া, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ও লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুটিয়াগাছ, গোকুন্ডা, রাজপুর ইউনিয়নের প্রায় ১৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তবে পানির চাপ বেড়ে যাওয়ায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধগুলো ঝুঁকিতে পড়ায় বন্যা ও ভাঙন আতঙ্কে দিন পার করছে তিস্তা পাড়ের হাজারও মানুষ। নদীপাড়ের পানিবন্দি পরিবারগুলো জানান, নদী তীরবর্তী এলাকার বেশকিছু রাস্তাঘাট ব্রিজ কালভার্ট ভেঙে গেছে পানির তোরে। এ ছাড়া আমন ধান ও সবজি ক্ষেত ডুবে রয়েছে বন্যার পানিতে। তবে দীর্ঘসময় এসব ক্ষেত পানিতে ডুবে থাকলে ফসলের মারাত্মক ক্ষতির শঙ্কা রয়েছে। একই সঙ্গে বন্যার পানি বাড়ায় ছোট ছোট পুকুরগুলো থেকে ভেসে গেছে মাছ। এ ছাড়া নলকূপ ডুবে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির অভাব। আর মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে সলেডি স্প্যার বাঁধসহ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধগুলো। আদিতমারী উপজেলা মহিষখোচা এলাকার কৃষক আনোয়ারুল হক জানান, কয়েকদিন ধরে অধিক বৃষ্টির কারণে তিস্তা নদীতে পানি বাড়ছে। বসতবাড়ি পানিতে ডুবে আছে। নৌকা দিয়ে এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়ির যোগাযোগ করতে হচ্ছে। কিছু জমিতে আমন ধান বোনা হয়েছে তা ডুবে গেছে। এ নিয়ে চিন্তায় আছি, যদি দু-একদিনের মধ্যে পানি না কমে তাহলে আমন ক্ষেত নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান জানান, আমার ইউনিয়নে ৩ থেকে প্রায় ৪ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বিষয়টি উপজেলা ও জেলা প্রশাসনকে অবগত করেছি। শুকনো খাবার এখন পর্যন্ত বরাদ্দ আসেনি। বরাদ্দ এলে পৌঁছে দেওয়া হবে। লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার জানান, রোববার সকাল ৬টায় তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ বেড়ে বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার ওপর প্রবাহিত হয়। ফলে তিস্তাপাড়ে বন্যা দেখা দিয়েছে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পানি কমতে শুধু করেছে। দুপুর ৩টায় ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক এইচএম রকিব হায়দার জানান, কিছু পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে তাদের জন্য ত্রাণসামগ্রী খুব দ্রম্নত পৌঁছে দেওয়া হবে। একই সঙ্গে যাতে বাঁধ বা সড়ক ভেঙে নতুন এলাকা পস্নাবিত না হয় সেদিকে নজরদারি করা হচ্ছে। সব পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে জেলা, উপজেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে। কুড়িগ্রামে শত শত হেক্টর জমির ফসল পানির নিচে কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি জানান, জেলার কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৩১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে পস্নাবিত হয়েছে কুড়িগ্রামের প্রায় ৪০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের তিস্তা অববাহিকার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল। তলিয়ে গেছে শতশত হেক্টর জমির আমন, বাদামসহ বিভিন্ন ফসল। চরাঞ্চলের ঘরবাড়িতে প্রবেশ করেছে বন্যার পানি। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত সহস্রাধিক পরিবার। ঘরবাড়িতে বন্যার পানি প্রবেশ করায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন কবলিতরা। এসব এলাকার রাস্তাঘাট তলিয়ে থাকায় ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থাও। এ অবস্থায় গবাদিপশুর খাদ্য সংকট নিয়েও বিপাকে পড়েছেন তারা। বন্যার পানি দীর্ঘায়িত হলে চরের পাকা ধানসহ অন্য ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হবে বলে জানিয়েছেন বন্যাকবলিত এলাকার কৃষকরা। কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুলস্নাহ আল মামুন জানান, শনিবারের তথ্যানুযায়ী, জেলায় বন্যার পানিতে নিমজ্জিত ছিল ১৫৯ হেক্টর জমির আমনসহ অন্য ফসল। শনিবার রাত থেকে পানি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। রোববারের তথ্য অনুযায়ী নিমজ্জিত জমির পরিমাণ আরও বাড়বে বলে জানান তিনি। রাজারহাটে সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দি রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি জানান, নিম্নাঞ্চলগুলো পস্নাবিত হয়ে উপজেলার তিস্তা চরের সহস্রাধিক বাড়িঘর পানিবন্দি রয়েছে। এ ছাড়া ওইসব এলাকায় ধান, বাদাম ও মরিচ ক্ষেত তলিয়ে গেছে। নদী ভাঙন ও ফসল নিয়ে আতঙ্কে রয়েছে তিস্তার পাড়ের মানুষজন। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের রোববার সকাল ৯টার তথ্যমতে, কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৩১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদি?কে পা?নি বেড়ে যাওয়ার ফ?লে তিস্তার তীরবর্তী রাজারহাট উপজেলার চর বিদ্যানন্দ, খিতাব খাঁ, চর গতিয়াসাম, চর তৈয়বখাঁ, মাঝের চরের নিম্নাঞ্চলের ?সহস্রা?ধিক পরিবারের বসতভিটা এবং ক?য়েকশ হেক্টর ফস?ল পা?নি?তে ত?লি?য়ে গে?ছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, খিতাব খাঁ মাঝের চরের প্রায় ৫ শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়েছে। পানিবন্দি পরিবারের জন্য ১ কেজি মুড়ি, আধাকেজি চিড়া, খাবার স্যালাইন, মোমবাতি, দিয়াশলাই ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাদিজা বেগম। রাজারহাট উপজেলার খিতাব খাঁ গ্রামের কৃষক আব্দুল কাদের বলেন, আমার তিন বিঘা জমিতে আধাপাকা ধান ক্ষেতে হঠাৎ তলিয়ে গেছে। কিছু ধান কাটতে পারলেও অবশিষ্ট সব পানির নিচে তলিয়ে গেছে। আমার খুব ক্ষতি হয়ে গেল। অপর এক কৃষক নুর ইসলাম বলেন, আমার শাকসবজি, ও বাদাম ক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে। হঠাৎ এমন পানি হবে চিন্তাও করতে পারি নাই। উপজেলা কৃষি অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) হৈমন্তী রানী বলেন, রোববার সকালের তথ্যমতে চরাঞ্চলে ৪০ হেক্টর জমির ধান, বাদাম, মরিচ ক্ষেত তলিয়ে গেছে। যেভাবে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে আরও কয়েকশ হেক্টর ফসলের ক্ষেত তলিয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার খাদিজা বেগম বলেন, এ উপজেলায় বন্যা হতে পারে তাই আগাম প্রস্তুতি গ্রহণ করে চরাঞ্চলের মানুষজনকে নিরাপদ স্থানে ও আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া পানিবন্দিদের মধ্যে শুকনা খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। নীলফামারীতে ৫ হাজারের বেশি পরিবার পানিবন্দি নীলফামারী প্রতিনিধি জানান, জেলার নিম্নাঞ্চল পস্নাবিত হয়ে পাঁচ হাজারের বেশি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। রোববার সকাল ৬টায় লালমনিরহাটের দোয়ানীতে অবস্থিত তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। পরে সকাল নয়টায় পানি কমে বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও লোকজনের ভাষ্য, তিস্তার পানি বাড়ার কারণে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই, পশ্চিম ছাতনাই, টেপাখড়িবাড়ী, খালিশাচাপানী, ঝুনাগাছ চাপানী, গয়াবাড়ী, খগাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের তিস্তা নদীবেষ্টিত ১৫টি চর গ্রামের পাঁচ হাজারের বেশি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলীর দায়িত্বে থাকা পানি উন্নয়ন বোর্ড নীলফামারী ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আতিকুর রহমান সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তিস্তা ব্যারাজের সবকটি (৪৪টি) জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে। রংপুরে তিস্তার পানি প্রবাহিত হচ্ছে বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর রংপুর প্রতিনিধি জানান, জেলার গংগাচড়া ও কাউনিয়া উপজেলার তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপরে উঠে যাওয়ায় নিম্নাঞ্চল পস্নাবিত হয়েছে। এতে বসতবাড়ি, আমন ধান এবং মৌসুমি ফসল তলিয়ে গেছে। বন্ধ রয়েছে কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, রোববার সকাল ৯টার পর থেকে তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও কাউনিয়ার তিস্তা সেতু পয়েন্টে পরিস্থিতি বিপজ্জনক রয়ে গেছে। সকাল ৬টা থেকে সেখানে পানি বিপৎসীমার ৩২ সেন্টিমিটার এবং সকাল ৯টায় ৩০ সেন্টিমিটার ওপর প্রবাহিত হয়েছে। দুপুর পর্যন্তও একই অবস্থায় ছিল। পানির এই বৃদ্ধিতে কাউনিয়া উপজেলার টেপামধুপুর ও বালাপাড়া ইউনিয়নের হায়বদ খাঁ চর, গদাই, তালুক শাহবাজ এবং গংগাচড়া উপজেলার লক্ষ্ণীটারী ইউনিয়নের ইছলি, কোলকোন্দ, বিনবিনা, গজঘণ্টার ছালাপাক চর এলাকায় পস্নাবিত হয়েছে। রংপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, বন্যা মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। গাইবান্ধায় ভাঙছে নদী গাইবান্ধা প্রতিনিধি জানান, জেলার প্রধান নদ-নদীগুলোর মধ্যে তিস্তা নদীর পানি রোববার সকাল থেকে বাড়ছে। তিস্তার পানি ৫৭ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৩১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্য নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। জেলার যমুনা, তিস্তা, করতোয়া ও ব্রহ্মপুত্র নদ-নদীর পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ভাঙন দেখা দিয়েছে। বিকালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্যমতে, জেলার প্রধান নদ-নদীগুলোর মধ্যে পানি বেড়ে সুন্দুরগঞ্জের তিস্তা নদের কাউনিয়া পয়েন্ট বিপৎসীমার ৩১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া ঘাঘট ৫৬ সেন্টিমিটার, করতোয়ায় ৯০ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি ও মোলস্নারচর ইউনিয়নের বিভিন্ন চরাঞ্চল ঘুরে জানা যায়, পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চলে রোপণ করা আমনসহ অন্য ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া ব্যাপক নদীভাঙন দেখা দিয়েছে। গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, জেলায় প্রায় সব নদ-নদীর পানি বাড়লেও তিস্তা ছাড়া অন্য নদের পানি বিদৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে বড় বন্যা হওয়ার আশঙ্কা নেই।