সাশ্রয়ী মূল্যে ডিম-মুরগি ভোক্তার কাছে পৌঁছাতে হবে :উপদেষ্টা ফরিদা
প্রকাশ | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
সবার জন্য নিরাপদ ডিম ও মুরগির মাংসের জোগান নিশ্চিত করতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, উৎপাদন খরচ কমিয়ে এনে কীভাবে সাশ্রয়ী মূল্যে ডিম ও মুরগি ভোক্তার কাছে পৌঁছানো যায় সে চেষ্টাই করতে হবে।
শনিবার রাজধানীর হোটেল রেডিসন বস্নু-তে ওয়ার্ল্ড'স পোলট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন-বাংলাদেশ শাখা আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, কোনো অবস্থাতেই আমরা ডিম আমদানি করতে চাই না। ডিম আমদানির সঙ্গে সে দেশের রোগ-জীবাণু আমাদের দেশে প্রবেশ করবে, এর ফলে পোলট্রিশিল্প টিকতে পারবে না, ধ্বংস হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা বুঝি- বন্যার কারণে অনেক খামার বন্ধ হয়ে গেছে, উৎপাদন কমে গেছে কিন্তু চাহিদা তো কমেনি। তাই গ্রাহকপর্যায়ে ডিম ও মুরগি সুলভমূল্যে বিক্রির জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গার্মেন্টসশিল্প, প্রবাসী শ্রমিকদের প্রেরিত রেমিট্যান্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও পোলট্রিশিল্পের অবদান কোনো অংশে কম নয়। এ সেক্টর আমাদের ডিম ও মাংসের বিশাল চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে।
পোলট্রিশিল্পের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে সংশ্লিষ্ট সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, আমাদের দৈনিক খাদ্য তালিকায় প্রোটিনের চাহিদার একটি উলেস্নখযোগ্য অংশ পূরণ হয় এ শিল্প থেকে। একদিকে যেমন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছে, অন্যদিকে সামাজিক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানে পোল্ট্রিশিল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে যাচ্ছে।
ওয়ার্ল্ড'স পোলট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন-বাংলাদেশ শাখার সভাপতি মসিউর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও শিক্ষক-গবেষক-স্টেকহোল্ডার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।