শুক্রাবাদে 'গ্যাসের আগুনে' শিশুসহ এক পরিবারের ৩ জন দগ্ধ
প্রকাশ | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি রিপোর্ট
রাজধানীর শুক্রাবাদে 'গ্যাস বিস্ফোরণ থেকে আগুন লেগে শিশুসহ এক পরিবারের তিনজন দগ্ধ হয়েছে। গুরুতর অবস্থায় দগ্ধদের জাতীয় বার্ন ও পস্নাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার ভোর সাড়ে ৪টায় শুক্রবাদ বাজার এলাকার একটি বাড়িতে ওই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. তারিকুল ইসলাম। দগ্ধরা হলেন মো. টোটন, তার স্ত্রী নিপা এবং তাদের শিশুসন্তান বায়েজিদ।
লালবাগ এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী টোটনের বয়স ৩৫ বছর, গৃহিণী নিপার বয়স ৩০ বছর আর তাদের সন্তান বায়েজিদের বয়স তিন বছর।
তাদের বার্ন ইনস্টটিউটিটের জরুরি বিভাগের রেড ইউনিটে রাখা হয়েছে জানিয়ে ডা. তারিকুল ইসলাম বলেন, তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
'টোটনের শরীরের ৫০ শতাংশ, নিপার ৩২ শতাংশ এবং বায়েজিদের শরীরের ৪৫ শতাংশ পুড়ে গেছে।'
সাধারণত কারও শরীরের ৩০ শতাংশের বেশি পুড়ে গেলেই আশঙ্কাজনক অবস্থা বিবেচনা করেন চিকিৎসকরা।
টোটনের শ্যালক নজরুল ইসলাম বলেন, তিনি তার বোনের ফোন পেয়ে বিস্ফোরণের কথা জানতে পারেন। কীভাবে হয়েছিল জানেন না।
'ওই বাসায় আমার বোনজামাই, বোন-ভাগ্নে থাকত। সকালে বোন আমাকে ফোন করে বলেছে 'ভাই আমাদের বাঁচা'। এর বেশি কিছু জানি না।'
ওই বাড়ির মালিক নিজাম উদ্দিন বলেন, বাড়ির নিচতলায় স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে থাকেন টোটন। তিনি থাকেন তিন তলায়। ভোরে বিস্ফোরণের শব্দ শূনে নিচে নেমে আগুন দেখতে পান। বিস্ফোরণ কেন হলো তা বুঝতে পারছেন না তিনি।
'রাত চারটা থেকে সাড়ে চারটার মধ্যে এ ঘটনায় ঘটেছে। একটা শব্দ পেয়ে আমরা নিচে নেমে দেখি জানলায় আগুন। টোটন
এবং বাকি দুজন বাইরে বের হয়ে বসে আছেন। আমরা আগুন নিভিয়ে তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাই। ঘটনার পরর্ যাব, ফায়ার সার্ভিস এবং তিতাস গ্যাস এখানে এসেছে। আমরাও চাই ঘটনাটির কারণ বের হোক।'