শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হামলা ও হত্যাচেষ্টার মামলা
প্রকাশ | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
এবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হামলা ও হত্যাচেষ্টার মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিনাজপুর কোতোয়ালি থানায় মামলাটি দায়ের করেন সদর উপজেলার উত্তর শেখপুরা গ্রামের আক্কাস আলীর স্ত্রী মোছা:রাশেদা খাতন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিম, সাবেক সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক ও মনোরঞ্জন শীল গোপালসহ ৮৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ৩০০ থেকে ৩৫০ জনকে।
শুক্রবার কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মামলার তদন্তভার উপপরিদর্শক (এসআই) রাজা মিয়াকে দেওয়া হয়েছে।
মামলার এজাহারে মোছা. রাশেদা খাতুন উলেস্নখ করেন, গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন যখন তুঙ্গে তখন হাজার হাজার ছাত্র-জনতার স্বৈরাচারবিরোধী মিছিলে আমার ছেলে আশরাফুল আলম (৩৪) অংশগ্রহণ করে। ওই দিন বেলা ১২টায় মিছিলটি দিনাজপুর সদর হাসপাতাল মোড়ে এলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল, সাবেক নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সুপরিকল্পিত ও প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মিছিলের ওপর হামলা চালায়। এতে শত শত ছাত্র-জনতা গুরুতর জখম হয়। আশরাফুল আলমের শরীরের বিভিন্ন অংশে সাতটি গুলিবিদ্ধ হয়। এর মধ্যে তার ডান চোখ গুলিবিদ্ধ হয়ে চিরতরে দৃষ্টিশক্তি হারায়। তাকে প্রথমে দিনাজপুর সদর হাসপাতাল ও পরে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে দিনাজপুরসহ ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে গেলেও তার শরীরে এখনও গুলির স্প্রিন্টার রয়েছে। বর্তমানে সে শরীরে গুলির স্প্রিন্টার নিয়ে ছটফট করছে। যেকোনো সময় তার মৃতু্য হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এজাহার নামীয় উলেস্নখযোগ্য আসামিদেন মধ্যে রয়েছেন- দিনাজপুর সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইমদাদ সরকার, বীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু হুসাইন বিপু, বিরল উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, খানসামা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান লায়ন চৌধুরী, বিরল পৌরসভার সাবেক মেয়র সবুজার সিদ্দিক সাগর, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম ছাড়াও বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গা ঢাকা দেন দলটির প্রভাবশালী কেন্দ্রীয় নেতারা। একের পর এক মামলা হচ্ছে দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনাসহ অন্যদের নামে। এরই ধারাবাহিকতায় এবার হত্যাচেষ্টা মামলা হলো চার শতাধিক নেতার বিরুদ্ধে।