কক্সবাজারে সেনা কর্মকর্তা নির্জন হত্যার ঘটনায় দুই মামলা
প্রকাশ | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
কক্সবাজারের চকরিয়ায় ডাকাতের ছুরিকাঘাতে সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট তানজীম ছারোয়ার নির্জন হত্যার ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। দুই মামলাতেই ১৭ জনের নাম উলেস্নখ করে ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বুধবার মধ্যরাতে পুলিশ সদস্য ও সেনা সদস্য বাদী হয়ে পৃথক আইনে মামলা দুইটি করেন বলে জানান চকরিয়া থানার ওসি মঞ্জুর কাদের ভূঁইয়া।
এর মধ্যে সেনাবাহিনীর ফাঁসিয়াখালী ক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার আব্দুলস্নাহ আল হারুনুর রশিদ বাদী হয়ে ডাকাতি ও হত্যার ঘটনায় একটি এবং পুলিশের এসআই আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে অপর মামলাটি করেছেন।
ওসি মঞ্জুর কাদের বলেন, মামলা দুইটিতে ১৭ জনের নাম উলেস্নখ করে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আটজনকে। এ পর্যন্ত এজাহারভুক্ত ছয় আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী।
তারা হলেন- মো. বাবুল প্রকাশ বাবুল ডাকাত (৪৪), মো. হেলাল উদ্দিন (৩৪), মো. আরিফ উলস্নাহ (২৫), মো. আনোয়ার হাকিম (২৮), মো. জিয়াবুল করিম (৪৫), মো. হোসেন (৩৯)। তাদের
সবার বাড়ি চকরিয়া উপজেলায়।
এই ছয়জনের মধ্যে বাবুল প্রকাশ লেফটেন্যান্ট তানজিমকে ছুরিকাঘাত করার প্রাথমিক স্বীকারোক্তি দিয়েছেন বলে জানানো হয়েছিল আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর-আইএসপিআরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।
এর আগে গত সোমবার রাত ৩টার দিকে ডুলাহাজরা ইউনিয়নের পূর্ব মাইজপাড়া এলাকায় অভিযানের সময় ডাকাতের ছুরিতে মারা যান লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ার নির্জন।
আইএসপিআর জানিয়েছিল, রাতে পূর্ব মাইজপাড়া গ্রামে ডাকাতির খবর আসে। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে চকরিয়া আর্মি ক্যাম্পের সদস্যরা সেখানে পৌঁছান।
অভিযানের সময় ৭-৮ সদস্যের ডাকাত দলটির কয়েকজনকে তাড়া করেন লেফটেন্যান্ট নির্জন। এ সময় ডাকাতরা নির্জনের ঘাড়ে ছুরিকাঘাত করলে প্রচুর রক্তক্ষরণ শুরু হয়।
তাৎক্ষণিকভাবে তাকে মালুমঘাট মেমোরিয়াল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
অভিযানের সময় যৌথবাহিনীর সদস্যরা রেজাউল করিমের বাড়ি ও আশপাশ থেকে ছয় ডাকাতকে আটক করে। এছাড়া ২টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, বিভিন্ন ধরনের ১১ রাউন্ড গুলি, হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি ছুরি, একটি পিকআপ এবং একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।
টাঙ্গাইলে জন্মগ্রহণকারী নির্জন পাবনা ক্যাডেট কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি মিলিটারি একাডেমি থেকে ৮২তম দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের সঙ্গে কমিশন লাভ করেন।
ওসি মঞ্জুর কাদের ভূঁইয়া বলেন, গ্রেপ্তার ছয় আসামিকে বুধবার রাতে পুলিশ আদালতে প্রেরণ করেছে। এজাহারভুক্ত অন্য আসামি ও অজ্ঞাতদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।