শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১ আশ্বিন ১৪৩১
আজ বিশ্ব পর্যটন দিবস

পর্যটনে বিপুল সম্ভাবনার পরও পিছিয়ে বাংলাদেশ!

আলতাব হোসেন
  ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
সুন্দরবনের হরিণ

বর্তমানে পর্যটনকে শিল্প হিসেবে চিহ্নিত করায় বাংলাদেশে এ শিল্পের ব্যাপক সম্ভাবনা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্বে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের অন্যতম হাতিয়ার এখন পর্যটন। বিশ্বে পর্যটন শিল্প একটি অন্যতম প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকান্ড হিসেবে সুপরিচিত। পর্যটনের মধ্যে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন সাধিত হয়ে বর্তমানে বিশ্বের চারটি কর্মসংস্থানের মধ্যে একটি কর্মসংস্থান তৈরি হয় পর্যটন খাতে। বর্তমানে ভারত আয় করেছে ১০ হাজার ৭২৯ মিলিয়ন ডলার, মালদ্বীপ ৮০২ মিলিয়ন ডলার, শ্রীলঙ্কায় ৩৮৫ মিলিয়ন ডলার এবং নেপালে ১৯৮ মিলিয়ন ডলার আর বাংলাদেশের পর্যটন খাতে আয় প্রায় ৭৬ দশমিক ১৯ মিলিয়ন ডলার যা সার্কভুক্ত অন্যান্য দেশের তুলনায় অপ্রতুল। পর্যটন শিল্পে অপার সম্ভাবনা থাকার পরও পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ।

পর্যটনের সম্ভাবনাকে সামনে রেখে আজ পালিত হচ্ছে বিশ্ব পর্যটন দিবস। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে- 'পর্যটন শান্তির সোপান'। বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৭টায় আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের সামনের সড়কে শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ আলোচনা সভা হবে।

বর্তমান বিশ্বে পর্যটন একটি অন্যতম আয়ের উৎস। পর্যটনের মাধ্যমে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন সাধিত হয়ে থাকে। পর্যটন শিল্পকে লুফে নিয়েছে থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, নেপাল, মরিশাস, মালদ্বীপ। তাদের আয়ের বড় অংশ আসে পর্যটন খাত থেকে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডবিস্নউইএফ) সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভ্রমণ ও পর্যটনে বিশ্বের শীর্ষ দেশের তালিকায় বাংলাদেশের নাম রয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।

ভ্রমণ ও পর্যটন কাউন্সিলের (ডবিস্নউটিটিসি) তথ্যানুযায়ী, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বছরে ভ্রমণ করেন ১৫৬ কোটি পর্যটক, অর্থাৎ প্রতি সাতজনের একজন পর্যটক। জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের ফলে সাধারণ মানুষের কাছে ভ্রমণ পিপাসা অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে, ধারণা করা হচ্ছে, ২০২৫ সাল নাগাদ এ সংখ্যা দাঁড়াবে ১৮০ কোটিতে।

পর্যটন বিশেষজ্ঞদের মতে, এ বিপুল সংখ্যক পর্যটকের প্রায় ৭৩ শতাংশ ভ্রমণ করেন এশিয়ার দেশগুলোতে। থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া

পর্যটন দিক থেকে অনেক এগিয়ে গেছে। সিঙ্গাপুর একইভাবে এগিয়ে গেছে। ভারতও এক্ষেত্রে এগিয়ে আছে। বাংলাদেশ বিদেশি পর্যটন আনতে এখনো অনেক পিছিয়ে আছে।

এদিকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের সম্ভাবনা তুলে ধরতে পারেনি সংশ্লিষ্টরা। অবকাঠামোগত সমস্যার পাশাপাশি নীতিনির্ধারকদের আন্তরিকতা, পেশাদারিত্ব, দক্ষতা ও আন্তর্জাতিক প্রচার নেই বলে সম্ভাবনাময় এই খাতটি বিদেশিদের কাছে তুলে ধরা যাচ্ছে না বলে অভিমত সংশ্লিষ্টদের।

বাংলাদেশে বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় পর্যটন খাতে খরচ কম, যা বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করতে সহায়ক। প্রাকৃতিক নয়নাভিরাম সৌন্দর্যের লীলাভূমি খ্যাত বাংলাদেশে পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলার অপার সৌন্দর্য পর্যটকদের হৃদয় স্পর্শ করে। বাংলা সংস্কৃতি কৃষ্টি, কালচার, বৈচিত্র্যময় আদিবাসী সংস্কৃতি, অতিথিপরায়ণ মানুষ, ঐতিহ্য আর নিসর্গ প্রকৃতি আকৃষ্ট করে পর্যটকদের। পর্যটনের অযুত সম্ভাবনার এ দেশের আনাচে-কানাচে লুকিয়ে আছে ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। রয়েছে বহু পুরাকীর্তি স্মৃতিগাথা নদ-নদী ও টাঙ্গুয়ার হাওড়। অপরূপ রূপে সৌন্দর্যের আধার বাংলাদেশ। আছে পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার। বঙ্গোপসাগরের উপকূল ঘেঁষে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট বা শ্বাসমূলীয় বন সুন্দরবন। আছে রাঙ্গামাটির পাহাড়ের মেঘকন্যা সাজেক ভ্যালি।

বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পর্যটকদের মুগ্ধ করে। বাংলাদেশের প্রত্যেকটি এলাকা বিভিন্ন স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যে বিশেষায়িত। একই সৈকত থেকে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত অবলোকনের স্থান সমদ্রকন্যা কুয়াকাটা, দুটি পাতা একটি কুঁড়ির সবুজ রঙের নয়নাভিরাম চারণভূমি সিলেট, আদিবাসীদের বৈচিত্র্যপূর্ণ সংস্কৃতি ও কৃষ্টি-আচার সমৃদ্ধ উচ্চ সবুজ বনভূমি ঘেরা চট্টগ্রাম পার্বত্য অঞ্চল, সমৃদ্ধ অতীতের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা দেশের উত্তরাঞ্চলের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো। ফলে স্বাভাবিকভাবে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে উন্নয়নের সমূহ সম্ভাবনা বিদ্যমান। পর্যটন শিল্প আজ বৃহত্তম শিল্প হিসেবে স্বীকৃত। পর্যটন শিল্পের বিকাশের ওপর বাংলাদেশের অনেকখানি সামগ্রিক উন্নয়ন নির্ভর করছে। দেশে পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটলে কর্মসংস্থান বাড়বে।

বিদেশি পর্যটন না বাড়লেও বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বছরে প্রায় ৪ কোটি দেশীয় পর্যটক বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে ঘুরে বেড়ান। এ ছাড়া বছরে বিদেশি পর্যটক আসেন ১ লাখ থেকে সর্বোচ্চ ৬ লাখের মতো। পর্যটন শিল্প পৃথিবীর একক বৃহত্তম শিল্প হিসেবে স্বীকৃত। পর্যটনের গুরুত্ব সর্বজনীন। পৃথিবীর প্রায় সব দেশে পর্যটন এখন অন্যতম প্রধান অগ্রাধিকার খাত। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি বহাল রাখতে পর্যটন খাতকে গুরুত্ব দেওয়া দরকার বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যান্ড টু্যরিজম কাউন্সিলের হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশের পর্যটন খাতে সরাসরি কর্মরত ২৫ লাখ মানুষ। আর পরোক্ষভাবে আরও ২৩ লাখ মানুষ এ খাতের সঙ্গে যুক্ত। সব মিলিয়ে প্রায় ৫০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে এ খাত। আর্থিক মূল্যে দেশীয় পর্যটন খাতের আকার দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার। পর্যটন নিয়ে কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা গেলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে পর্যটন শিল্প অন্যতম ভূমিকা পালন করতে পারবে।

অপরূপ সৌন্দর্যের আধার বাংলাদেশ যার প্রাকৃতিক রূপবৈচিত্র্যের কোনো জুড়ি নেই। সুন্দরবন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল। ১৯৯৭ সালে ইউনেস্কো সুন্দরবনকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে। পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার, ১২০ কিলেমিটার দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট এ সমুদ্র সৈকতের বৈশিষ্ট্য হলো পুরো সমুদ্র সৈকতটি বালুকাময়। বালিয়াড়ি সৈকত সংলগ্ন শামুক-ঝিনুকসহ নানা প্রজাতির প্রবাল সমৃদ্ধ। কক্সবাজার নাজিরার টেক থেকে শুরু করে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ পর্যন্ত বিস্তৃত এই বীচ। সৈকতের পাদদেশেই বিশাল ঝাউবাগান। আছে প্রকৃতির বিস্ময়কর প্রবালদ্বীপ। জিঞ্জিরা, দক্ষিণপাড়া, গলাছিরা ও চেরাদিয়া এই চারটি দ্বীপ নিয়ে 'সেন্ট মার্টিন দ্বীপ'। সামুদ্রিক প্রবালদ্বীপ সেন্ট মার্টিনের ৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং বাংলাদেশের মানচিত্রের সর্বদক্ষিণের শেষ বিন্দুতে অবস্থিত ছেড়াদ্বীপ। কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দন হচ্ছে। সেখানে সাবরাং টু্যরিজম পার্ক, নাফ টু্যরিজম পার্ক ও সোনাদিয়া ইকো টু্যরিজম পার্ক পর্যটকদের জন্য চালু হলে বছরে বাড়তি ২০০ কোটি মার্কিন ডলারের অর্থনৈতিক কার্যক্রমের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

পর্যটন খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, পর্যটকদের পছন্দের বেড়ানোর তালিকায় এক নম্বরে আছে কক্সবাজার। পরের অবস্থানে আছে পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলা রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি। পছন্দের তালিকার তৃতীয় অবস্থানে আছে সিলেট। হযরত শাহজালাল ও শাহপরানের মাজার জিয়ারত ছাড়াও সিলেটের চা-বাগানসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত জায়গাগুলোতে যাচ্ছেন পর্যটকরা। বেড়ানোর তালিকায় আরও আছে সুন্দরবন, কুয়াকাটা, সেন্ট মার্টিন, পাহাড়পুর প্রভৃতি।

বাংলাদেশের হাওড় অঞ্চল পর্যটনের আরেক সম্ভাবনার নাম। বাংলাদেশের জেলাগুলোর মধ্যে সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, নেত্রকোনা, সিলেট, কিশোরগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া- এ সাতটি জেলার ৭ লাখ ৮৪ হাজার হেক্টর জলাভূমিতে ৪২৩টি হাওড় নিয়ে হাওরাঞ্চল গঠিত। হাওড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পর্যটকরা নৌকায় বসে বিস্তীর্ণ নীল জলরাশির মায়ায় ভেসে বেড়াতে পারেন। টাঙ্গুয়ার হাওড় ও রাতারগুল পাহাড়, হিজল, করচ, নল, খাগড়া বনের নৈসর্গিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ হওয়ার মতো খোরাক মিলবে পর্যটক ও দর্শনার্থীদের।

পর্যটন খাত বিশেষজ্ঞ তৌফিকুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর একটি দেশ। নিজস্ব ভাষা, কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ। সবুজ-শ্যামল ছায়াঘেরা গ্রামকে কেন্দ্র করেই শত শত বছরের রূপলাবণ্যের বাংলাদেশ। হাজার বছরের ঐতিহ্যে লালিত রূপসী বাংলার নান্দনিক মায়া মহমুগ্ধ হয়ে দখলে মন ভরে যায়। শুধু পর্যটনশিল্প থেকেই বছরে হাজার কোটি টাকা আয় করতে পারে বাংলাদেশ। নদী-বিধৌত অফুরন্ত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত বাংলাদেশে পর্যটনশিল্প খুবই সম্ভাবনাময়। পৃথিবীর যেকোনো পর্যটককে আকৃষ্ট করার মতো সকল উপাদান বাংলাদেশে আছে। পর্যটন এমনই এক অর্থনৈতিক খাত যেখানে কম বিনিয়োগে বিপুল আয় করা সম্ভব। একজন বিদেশি পর্যটন ঘুরতে আসলে দেশের ৪ থেকে ৭ জনের কর্মসংস্থান হয়।

প্যাসিফিক এশিয়া ট্রাভেল অ্যাসোসিয়েশন (পাটা) বাংলাদেশ চ্যাপটারের তথ্য মতে বাংলাদেশে দেশি-বিদেশি ভ্রমণকারী ও পর্যটকদের জন্য রয়েছে শত শত আকর্ষণীয় পর্যটন স্পট। এর মধ্যে উলেস্নখযোগ্য হচ্ছে- ঢাকার লালবাগ কেলস্না, আহসান মঞ্জিল, ষাট গম্বুজ মসজিদ, সোনারগাঁও, উয়ারী বটেশ্বর, ময়নামতি, পাহাড়পুর বিহার, কান্তজীর মন্দির, মহাস্থানগড়। জাতীয় স্মৃতিসৌধ, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ, জাতীয় কবির সমাধিসৌধ, কার্জন হলো, বলধা গার্ডেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, পুরাতন হাইকোর্ট ভবন, বাহাদুর শাহ পার্ক, দীঘাপাতিয়া রাজবাড়ী, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কবরস্থান, শিলাইদহ কুঠিবাড়ী, সাগরদাড়ি, গান্ধী আশ্রম। জাতীয় সংসদ ভবন, বঙ্গভবন, শাঁখারি বাজার, সদরঘাট, রমনা পার্ক, জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান, জাতীয় চিড়িয়াখানা, জাতীয় উদ্যান ও জাফলং।

বাংলাদেশ টু্যরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সিইও আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের বলেন, দিবসটি উপলক্ষের্ যালি, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন, বাংলাদেশ টু্যরিজম বোর্ড, বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থা, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস, হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টাল, হোটেল-মোটেলসহ পর্যটন সম্পর্কিত নানা প্রতিষ্ঠান। এবার দিবসটি উপলক্ষে সমুদ্রসৈকত কুয়াকাটার টু্যরিজম পার্ক সংলগ্ন এলাকায় মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসরীন জাহান বলেন, পর্যটন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। দেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন ও প্রসারে টেকসই পর্যটন ব্যবস্থাপনা জরুরি। এটি কেবল অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি নয়, বরং সামাজিক অন্তর্ভুক্তি এবং স্থানীয় সংস্কৃতি সংরক্ষণেও সহায়ক হতে পারে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে