খুলনার ৯৯১ মন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা
প্রকাশ | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
খুলনা অফিস
খুলনার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেছেন, প্রতিবারের মতো এবারও আনন্দময় হবে দুর্গোৎসব। দুর্গাপূজা সুন্দরভাবে আয়োজনের জন্য সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে সামাজিক সৌহার্দ্য যুক্ত হলে একটি প্রাণবন্ত উৎসব উদযাপিত হবে। ভালোবাসা আর সাম্যের বন্ধন নিয়ে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আমরা এই উৎসবে অংশ নেব।
মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রস্তুতিসভায় জানানো হয়, এবার খুলনা জেলার মহানগরসহ ৯৯১টি পূজামন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে খুলনা মহানগরে ১০১টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। তবে এই সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে পারে।
স্বরাষ্ট্র এবং ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নিদের্শনা মতে সব পূজামন্ডপে আনসার সদস্য সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবে। এর সঙ্গে সেনা, নৌ, কোস্টগার্ড, পুলিশসহ যৌথবাহিনী পূজা শুরুর আগে থেকেই পূজার দিনগুলোতে টহল দেবে। পূজামন্ডপে ক্লোজসার্কিট ক্যামেরা বসানো হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব বা মিথ্যা তথ্য ছড়ালে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে প্রতীমা বিসর্জনের ব্যবস্থা করা হবে। আজান ও নামাজের সময় বাদ্যযন্ত্র বন্ধ থাকবে। ডিসি অফিস, ইউএনও এবং পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ২৪ ঘণ্টা চালু রেখে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হবে।
খুলনার পুলিশ সুপার টি এম মোশাররফ হোসেন জানান, প্রশাসন ও স্থানীয়দের সঙ্গে চমৎকারভাবে সমন্বয় করে নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। আনন্দের সঙ্গে যাতে পূজা উদযাপিত হতে পারে তার জন্য পুলিশ টহল বৃদ্ধি করা হবে।
পূজা উদযাপন পরিষদের মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতারা প্রত্যন্ত অঞ্চলে পূজা শুরুর পূর্ব হতে যৌথবাহিনীর টহল বৃদ্ধির অনুরোধ জানিয়ে বলেন, এতে সবার মনে আরও সাহস সঞ্চার হবে। একইসঙ্গে তারা হয়রানিমূলক মামলা হতে পরিত্রাণের আহ্বান জানান।
খুলনা জেলার ৯৯১টি পূজামন্ডপের মধ্যে মহানগরে ১০১টি, বটিয়াঘাটায় ১১৩টি, ডুমুরিয়ায় ২১৪টি তেরখাদায় ১০৭টি, পাইকগাছায় ১৫৫টি পূজামন্ডপ দুর্গাপূজার আয়োজন করা হবে। এছাড়া দাকোপে ৮৪টি, দিঘলিয়ায় ৬৩টি, ফুলতলায় ৩৪টি, রূপসায় ৭৪টি এবং কয়রা উপজেলায় ৪৬টি পূজামন্ডপ দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় খুলনা সদর ও মহানগরের ক্যাম্প কমান্ডার মেজর মো. আলিফ, নৌবাহিনীর লে. কমান্ডার এমএস আরেফীন, কোস্টগার্ডের লে. কমান্ডার নূরুজ্জামান, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার দপ্তরের উপপরিচালক মো. ইউসুফ আলী, আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপপ্রধান তথ্য অফিসার ম. জাভেদ ইকবাল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. নাজমুল হুসেইন খাঁন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট মীর আলিফ রেজা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুশান্ত সরকার, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা,র্ যাব, এনএসআই প্রতিনিধি, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত কুমার কুন্ডু, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিমান সাহাসহ খুলনার নয়টি উপজেলার পূজা উদযাপন পরিষদের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা অনলাইনে যুক্ত ছিলেন।