দুর্গাপূজায় তিন স্তরে কঠোর নিরাপত্তা

প্রকাশ | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
এবার দুর্গাপূজা ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তা প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক মো. ময়নুল ইসলাম। পূজা উপলক্ষে পুলিশ সদর দপ্তরে আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত সভায় তিনি বলেন, পূজামন্ডপে নিরাপত্তায় পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক থেকে দায়িত্ব পালন করবে। আইজিপি বলেন, 'কেউ যেন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে না পারে সেজন্য পুলিশ সচেষ্ট রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও গুজব রোধে পুলিশের সাইবার মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে।' পুলিশ সদর দপ্তরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, 'আইজিপি বলেন, দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রাক দুর্গাপূজা, দুর্গাপূজা চলাকালীন এবং প্রতিমা বিসর্জন ও দুর্গাপূজা পরবর্তী তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এরই মধ্যে পুলিশের পূজাকেন্দ্রিক নিরাপত্তা কার্যক্রম শুরু হয়েছে।' আগামী ২ অক্টোবর মহালয়ার মধ্য দিয়ে দেবী পক্ষের সূচনা হবে। ৯ অক্টোবর ষষ্ঠী, ১০ অক্টোবর সপ্তমী, ১১ অক্টোবর অষ্টমী ও ১২ অক্টোবর নবমী ও দশমী পূজা অনুষ্ঠিত হবে। ১২ অক্টোবর সন্ধ্যায় বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটবে এ বছরের শারদীয়া দুর্গোৎসবের। পূজা চলাকালে সিসিটিভি-আইপি ক্যামেরা সক্রিয় রাখা, প্রতিটি মন্ডপে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবকদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পূজা উদযাপন পরিষদ নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানান আইজিপি। পূজা উপলক্ষে পুলিশ সদর দপ্তর এবং অন্যান্য পুলিশ ইউনিটে মনিটরিং সেল চালু থাকবে জানিয়ে তিনি জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ অথবা নিকটস্থ থানায় যোগাযোগ করার জন্যও আহ্বান জানান। পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, এবার দেশের ৩২ হাজার ৬৬৬টি মন্ডপে দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে। পূজা চলাকালে পোশাকে ও সাদা পোশাকে পুলিশের পাশাপাশি সোয়াট, ক্রাইসিস রেসপন্স টিম, কুইক রেসপন্স টিম, ক্রাইম সিন ভ্যান ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবে। আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত সভায় র?্যাব মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান, এসবি প্রধান মো. শাহ আলম, অতিরিক্ত আইজি আবু হাসান মুহম্মদ তারিক, হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত আইজি মো. শাহাবুদ্দিন খাঁন, নৌ পুলিশের অতিরিক্ত আইজি মোহা. আবদুল আলীম মাহমুদ, ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল হাসান উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি নির্মল রোজারিও, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর ও সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ শর্মা, মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি জয়ন্ত কুমার দেব ও সাধারণ সম্পাদক তাপস চন্দ্র শীল, রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের স্বামী কল্পেশানন্দ উপস্থিত ছিলেন।