বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে পুলিশের গুলিতে আহত হয়ে দেড় মাসের বেশি সময় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর স্কুলছাত্র জুনায়েদ ইসলাম রাতুল মারা গেছে। সোমবার ভোরে ঢাকার নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে রাতুলের মৃতু্য হয় বলে তার বাবা জিয়াউর রহমান নিশ্চিত করেছেন।
রাতুল বগুড়ার পথ পাবলিক স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল। ৫ আগস্ট বিকালে শহরের বড়গোলা এলাকায় সে গুলিবিদ্ধ হয়।
জিয়াউর বলেন, 'সেদিন সকাল থেকে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিল রাতুল। বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ছাত্র-জনতার একটি মিছিল বগুড়া সদর থানার দিকে যাচ্ছিল। পথে পুলিশের এলোপাতাড়ি গুলিতে রাতুলের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলি লাগে। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজধানীর নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে এক মাস ২০ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা যায় রাতুল।'
হাসপাতাল থেকে রাতুলের মরদেহ ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে নেওয়া হয়। সেখানে জানাজা শেষে নেওয়া হয় বগুড়া শহরের হাকির মোড় এলাকায় নিজ বাসায়। পরে দ্বিতীয় জানাজা শেষে রাতুলকে দাফন করা হবে বলে তার বাবা জানান।
রাতুলের বাবা বলেন, 'ছেলেকে দাফনের পর স্বজনদের সঙ্গে বসে মামলার বিষয়ে চিন্তা করবো। রাতুলের চিকিৎসা খরচ নিজেও দিয়েছি, স্বজন, বন্ধুরা এবং সরকারও দিয়েছে।'
বগুড়া সদর থানার ওসি একেএম মঈন উদ্দিন বলেন, 'বগুড়ার এক স্কুলছাত্র বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকায় চিকিৎসাধীন ছিল। সে মারা গেছে বলে শুনেছি।'