দীঘিনালায় সংঘর্ষের ঘটনায় মানবাধিকার কমিশনের উদ্বেগ
প্রকাশ | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
অনলাইন ডেস্ক
'দীঘিনালায় দুই পক্ষের সংঘর্ষের পর দোকান, বাড়িঘরে আগুন' শীর্ষক প্রথম আলো পত্রিকায় প্রচারিত সংবাদ প্রতিবেদন এবং একই বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নজরে এসেছে। পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে বর্ণিত সংঘর্ষের ঘটনা অনভিপ্রেত। উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে পার্শ্ববর্তী জেলা রাঙামাটিতে সংঘাত ছড়িয়ে যাওয়ার যে খবর পাওয়া গেছে তা আরও উদ্বেগজনক। অপ্রীতিকর এ পরিস্থিতি দ্রম্নততার সঙ্গে স্বাভাবিক করার জোরালো প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা সমীচীন বলে কমিশন মনে করে। এ ঘটনায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগ (সুয়োমটো) গ্রহণ করেছে। কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত সুয়োমটোর বিষয়বস্তু নিম্নরূপ :
সংবাদ প্রতিবেদনের বরাতে সুয়োমটোতে উলেস্নখ রয়েছে খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলায় পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখ বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে লারমা স্কয়ার এলাকায় এ সংঘর্ষ বাধে। একপর্যায়ে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর দোকান ও ঘরবাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্র জানায়, খাগড়াছড়ি শহরের নোয়াপাড়া এলাকায় গত বুধবার ভোরে মোহাম্মদ মামুন (৩০) নামের এক ব্যক্তিকে মোটর সাইকেল চুরির অভিযোগে মারধর করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় পরে তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার সূত্র ধরে ঐদিন বিকাল ৫টার দিকে দীঘিনালায় বিক্ষোভ মিছিল বের করেন বাঙালিরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ৫টার দিকে ৩০০ থেকে ৪০০ বাঙালি জামতলি ও বোয়ালখালী বাজারের দিক থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। তারা লারমা স্কয়ারের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় পাহাড়িরা বাধা দিলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এতে অন্তত তিনজন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের একপর্যায়ে লারমা স্কয়ার ও দীঘিনালা কলেজের পাশের প্রায় ৩৭টি ঘরবাড়ি ও দোকানপাট জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।
খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি ও বাঙালি সংঘাতের রেশ পার্শ্ববর্তী জেলা রাঙামাটিতেও ছড়িয়েছে মর্মে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে জানা যায়।
সংঘর্ষ-সহিংসতায় পার্বত্য দুই জেলায় ৪ জন নিহত এবং অন্তত ৮০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বর্ণিত এলাকাসমূহের শান্তি-সম্প্রীতি বজায় রাখার উদ্যোগ গ্রহণসহ ঘটনার পেছনে প্রকৃত দায়ী ব্যক্তিদের যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে শনাক্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে কমিশনকে অবহিত করার জন্য বিভাগীয় কমিশনার, চট্টগ্রামকে বলা হয়েছে। আগামী ৬ নভেম্বর প্রতিবেদনের জন্য ধার্য করা হয়েছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি