শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১

ওয়ারীতে দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যায় গ্রেপ্তার ৩

যাযাদি ডেস্ক
  ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
ওয়ারীতে দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যায় গ্রেপ্তার ৩

রাজধানীর ওয়ারী থানার হাটখোলা এলাকায় ফ্ল্যাট নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে আপন দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. আকবর হোসেন (৬০), তার ছেলে মো. আসিফ সুলতান সিফাত (২৭) ও তার বন্ধু মো. আজাহারুল ইসলাম খান রিয়ান (২৮)।

এর আগে ১৫ আগস্ট সকালে দুইভাই আল আমিন ভূঁইয়া (৪২) ও তার ছোটভাই নুরুল আমিন ভূঁইয়াকে (৩৫) হত্যা করা হয়। এ ঘটনার নিহতদের বড়ভাই মো. রুহুল আমিন ভূঁইয়ার করা মামলার প্রেক্ষিতে শুক্রবার সাভার থেকে আসামিদের গ্রেপ্তার করে ওয়ারী থানা পুলিশ।

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. ছালেহ উদ্দিন।

ওয়ারী বিভাগের ডিসি বলেন, মো. রুহুল আমিন ভূঁইয়া (৪০) এর আপন মেজভাই মো. আলামিন ভূইয়া (৩৮) ওয়ারী থানাধীন ১০নং হাটখোলা রোডের 'ক্লাসিক রিয়েল স্টেট কোম্পানির' কাছ থেকে একটি ফ্ল্যাট ক্রয়ের চুক্তি করেন।

ওই ফ্ল্যাটের ল্যান্ড ওনার 'অ্যাডভোকেট আকবরগং' এর সঙ্গে ২০১৪ সালে রিয়েল এস্টেট কোম্পানির মালিক রিপনের সঙ্গে চুক্তি হয়। পরে ১০ বছরেও ওই স্থানে বিল্ডিং নির্মাণ না করায় ল্যান্ড ওনার অ্যাডভোকেট আকবরগং ওই স্থানে দ্বিতীয়তলা নিজেদের অর্থায়নে নির্মাণ করে। যেহেতু বাদীর মেজভাই মো. আলামিন ভূঁইয়ার (৩৮) সঙ্গে ক্লাসিক রিয়েল এস্টেট কোম্পানির ফ্ল্যাট ক্রয়ের চুক্তি হয়েছিল, তাই আল আমিন ভূঁইয়া তার ছোটভাই মো. নুরুল আমিন ভূঁইয়াকে সঙ্গে নিয়ে গত ১৪ আগস্ট বেলা ১১টায় ১০নং হাটখোলা রোডের সামনে নির্মাণাধীন ফ্ল্যাট দেখতে যায়। ওই সময় আসামি সিফাতের নেতৃত্বে আকবর, রিয়ান ও পলাতক অন্য আসামির সহযোগিতায় ভিকটিম আল-আমিন ও নুরুল আমিন ভূঁইয়াকে হত্যার উদ্দেশে স্টিলের ব্যাটন, স্টিলের চাকু, চাইনিজ কুড়াল দিয়ে বুক, পিঠ, মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর জখম করলে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।

ওই ঘটনার বিষয়ে নিহতদের আপন বড়ভাই মো. রুহুল আমিন ভূঁইয়া থানায় এসে একটি হত্যা মামলা করেন।

মো. ছালেহ উদ্দিন বলেন, মামলা রুজু হওয়ার পর ওয়ারী থানার একটি বিশেষ টিম ঘটনাস্থলের আশপাশের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে এবং সোর্সের দেওয়া তথ্য মোতাবেক আসামিদের মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে তাদের অবস্থান নির্ণয় করেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে