টাঙ্গাইল শহরে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সোস্যাল অ্যাডভান্সমেন্ট থ্রম্ন ইউনিটির (সেতু) সেতু টাওয়ারে মো. হাসান (৩০) নামে এক কর্মীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। তিনি সিরাজগঞ্জের উলস্নাপাড়া উপজেলার পুটিয়া গ্রামের বাসিন্দা এবং সেতুর জামালপুর শাখায় কর্মরত ছিলেন। শনিবার বিকাল সাড়ে ৫টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সেতু টাওয়ারে নিহত হাসানের পরিবারের সঙ্গে সেতুর কর্মকর্তাদের রুদ্ধদ্বার বৈঠক চলছিল।
জানা গেছে, প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তিগত বিরোধের জের ধরে গত ১৮ সেপ্টেম্বর বিকালে মো. হাসানকে জামালপুর শাখা থেকে একপ্রকার অপহরণ করে সোস্যাল অ্যাডভান্সমেন্ট থ্রম্ন ইউনিটির (সেতু) প্রধান কার্যালয় সেতু টাওয়ারে আনা হয়। এদিন রাতে প্রধান কার্যালয়ে নির্বাহী পরিচালক মির্জা শাহাদত হোসেনের নির্দেশে অন্য কর্মীরা মো. হাসানকে বেদম প্রহার করেন। পরে পরিবারকে খবর দিলে হাসানের মাসহ পরিবারের লোকজন ১৯ সেপ্টেম্বর সেতু টাওয়ারে পৌঁছালেও তাদের হাসানের সঙ্গে দেখা করতে দেয়নি। হাসান কি করেছে- এ প্রশ্নের জবাবও দেওয়া হয়নি। এক পর্যায়ে তারা বাড়ি চলে যায়। পরে শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সদর থানা পুলিশের ডিউটি অফিসার পরিবারকে ফোন দিয়ে থানায় আসতে বলেন। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে থানায় এসে জানতে পারেন- মো. হাসান মারা গেছেন এবং তার মরদেহ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
এনজিওকর্মী মো. হাসানের মৃতু্য সংবাদ পেয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা সেতু টাওয়ারে গেলে তাদের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। কেউ কোনো বক্তব্য দিতেও রাজি হননি।
মো. হাসানের বোন জামাই আবু তাহের জানান, মো. হাসানকে সেতুর নির্বাহী পরিচালক মির্জা শাহাদত হোসেনের নির্দেশে অন্য কর্মীরা পিটিয়ে হত্যা করেছে। তিনি হাসান হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
নিহত হাসানের মা জানান, তার ছেলের সঙ্গে কারও কোনো শত্রম্নতা ছিল না। এনজিওতে চাকরি করাকালে অন্য ২-১ জন কর্মীর সঙ্গে নানা বিষয় নিয়ে তার মতবিরোধ ছিল। সেতু কর্তৃপক্ষ তার ছেলেকে জামালপুর থেকে উঠিয়ে এনে তিন রাত দুইদিন আটকে রেখে মারধর করে মেরে ফেলেছে।
টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভীর আহমেদ জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।