বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য, পার্বত্য চট্টগ্রাম-বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সাবেক সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর আমির আলহাজ শাহজাহান চৌধুরী বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা দীর্ঘদিনের। এই সমস্যা সমাধানের জন্য কার্যকর অবদান রেখেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তার ভূমিকাকে অবহেলা করার কারণে আজকে পার্বত্য চট্টগ্রামে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এই সমস্যা ঘাড়ের ওপর রেখে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া কোনোদিনও সম্ভব নয়। সুতরাং, পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে চলমান সহিংসতাসহ সব হত্যাকান্ডের বিচার হতে হবে।
শনিবার সকালে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে 'পার্বত্য চট্টগ্রামে বিরাজমান বৈষম্য দূরীকরণে করণীয়' শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইউনূসসহ উপদেষ্টা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের আমির বলেন, 'পার্বত্য চট্টগ্রাম-বিষয়ক একটি স্পেশাল কমিটি গঠন করা দরকার। পার্বত্য চট্টগ্রাম অত্যন্ত অবহেলিত। সেখানে থাকা মুসলিম-হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টানদের প্রতি যে বৈষম্য সৃষ্টি করা হয়েছেম তা মোটেও ঠিক হয়নি। বিগত আওয়ামী সরকার তাদের প্রতি অত্যন্ত অন্যায়সূলভ আচরণ করেছে। তাই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি অনুরোধ, অতিসত্তর এই সমস্যা সমাধান করা জরুরি।'
শাহজাহান চৌধুরী বলেন, 'অশান্ত পার্বত্য তিন জেলায় হত্যা বন্ধ, অগ্নিকান্ড লুটপাট, হামলা বন্ধ করে এই জঘন্য হত্যাকান্ডের জন্য দায়ীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।' এ সময় তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
বিএনপির চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির আহ্বায়ক এরশাদ উলস্নাহর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য অধ্যাপক আহসান উলস্নাহ ভূঁইয়া, জামায়াতে ইসলামী খাগড়াছড়ি জেলা আমির অধ্যাপক সৈয়দ আবদুল মোমেন, বান্দরবান পার্বত্য জেলা আমির মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মুহাম্মদ উলস্নাহ, পার্বত্য চট্টগ্রাম আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এয়াকুব আলী, বাংলাদেশ লয়ার্স কাউন্সিল চট্টগ্রাম জেলা সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামসুল আলম, খাগড়াছড়ি জেলার স্থানীয় সরকার পরিষদের সাবেক সদস্য আবু বকর ছিদ্দিক, বান্দরবান পার্বত্য আইনজীবী ফোরামের অ্যাডভোকেট আবু তালেব, বান্দরবান জেলার জামায়াত নেতা মুহাম্মদ রফিক বসরী, বান্দরবানের সাংবাদিক এসএম সম্রাট, পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল আহাদ, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম মনির, ইসমাইল নবী শাওন, আসিফ ইকবাল, ছাদেকুর রহমান প্রমুখ। এ ছাড়াও পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ ও বৈষম্যবিরোধী পার্বত্য চট্টগ্রাম পরিষদের নেতারাও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।