বাংলাদেশ কোম্পানি ল' প্রাকটিশনারস্ সোসাইটি গভীর উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্যে লক্ষ্য করছে যে, পতিত স্বৈরাচারের অন্যতম দোসর সাবেক বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটোর নির্দেশনায় রেজিস্ট্রার, জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ এন্ড ফার্মস এবং বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইন্সটিটিউটের যৌথ উদ্যোগে আরজেএসসিতে নিবন্ধন ও রিটার্ন দাখিলে দক্ষ পেশাজীবী সৃজনে "ঈবৎঃরভরপধঃব ঈড়ঁৎংব ভড়ৎ ঊহযধহপরহম চৎড়ভবংংরড়হধষ ঝশরষষং ভড়ৎ জবমরংঃৎধঃরড়হ ধহফ জবঃঁৎহ ঋরষষরহম ধঃ জঔঝঈ্থ্থ শীর্ষক ২ মাস (২১ কর্মদিবস) ব্যাপী প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইন্সটিটিউট (বিএফটিআই) কর্তৃক ইসু্যকৃত ২২.০৮.২০২৪ তারিখের নোটিশদৃষ্টে প্রতীয়মান হয় যে, প্রশিক্ষণের সময়কাল সেপ্টেম্বর, ২০২৪ থেকে অক্টোবর, ২০২৪ এবং প্রশিক্ষণ ফিএর পরিমাণ ৬০,০০০/- টাকা যা প্রকৃতপক্ষে ১৫% ভ্যাটসহ মোট প্রদেয় প্রশিক্ষণ ফি ৭৫,০০০/- টাকা। নোটিশে উলেস্নখ করা হয় যে, আরজেএসসি এর সেবা গ্রহীতাগণকে স্মার্ট সেবা প্রদানকল্পে কোম্পানি আইনের আলোকে আরজেএসসিতে নির্ভুলভাবে কোম্পানি নিবন্ধন ও রিটার্ন দাখিলের জন্য পেশাজীবী সৃজনের নিমিত্তে কোম্পানি আইন ও অনলাইন রিটার্ন দাখিলের বিষয়ে সম্যক ধারণা দিতে "ঈবৎঃরভরপধঃব ঈড়ঁৎংব ভড়ৎ ঊহযধহপরহম চৎড়ভবংংরড়হধষ ঝশরষষং ভড়ৎ জবমরংঃৎধঃরড়হ ধহফ জবঃঁৎহ ঋরষষরহম ধঃ জঔঝঈ্থ্থ শীর্ষক ২ মাস (২১ কর্মদিবস) ব্যাপী প্রশিক্ষণ আরজেএসসি-এর সহায়তায় বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইন্সটিটিউট (বিএফটিআই) সেপ্টেম্বর, ২০২৪ মাসের তৃতীয় সপ্তাহে বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইন্সটিটিউট (বিএফটিআই) এর একাডেমিক বস্নক, টিসিবি ভবন (৫ তলা), ১, কাওরান বাজার, ঢাকায় আয়োজন করতে যাচ্ছে।
কোম্পানি আইন, ১৯৯৪ এ সরকার, আরজেএসসি বা বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইন্সটিটিউট (বিএফটিআই) কে কোম্পানি নিবন্ধন ও রিটার্ন দাখিলের জন্য দক্ষ পেশাজীবী সৃজনের নিমিত্তে কোনো প্রশিক্ষণ আয়োজন এবং সেজন্য উচ্চমাত্রায় প্রশিক্ষণ ফি গ্রহণ এবং প্রশিক্ষণ কোর্স শেষে আরজেএসসি প্র্যাকটিশনারস সার্টিফিকেট এবং নিবন্ধন নম্বরসহ আরজেএসসি রেজিস্ট্রার কর্তৃক ইসু্যকৃত একটি স্মার্ট আইডি কার্ড প্রদানের কোন ক্ষমতা বা দায়িত্ব অর্পণ করেনি। কোম্পানি আইনের ধারা-২৫ অনুযায়ী কোম্পানি নিবন্ধনের কোনো ঘোষণাপত্র প্রদানের ক্ষমতা হাইকোর্ট বিভাগের একজন আইনজীবী কিংবা কোম্পানির পরিচালক, ম্যানেজার কিংবা সচিব হিসেবে যার নাম সংঘবিধিতে উলিস্নখিত আছে তাদের উপর ন্যস্ত। অন্যদিকে কোম্পানি আইনের ২১০-২১৩ ধারায় নিরীক্ষক তথা চাটার্ড একাউন্টটেন্টদের নিয়োগ, অপসারণ, যোগ্যতা-অযোগ্যতা, এবং ক্ষমতা ও কর্তব্য বিশদভাবে আলোচনা হয়েছে। বর্তমানে চাটার্ড সেক্রেটারিদের জন্য আলাদা কোর্স প্রচলিত আছে। এদের পাশাপাশি নিবন্ধিত কস্ট একাউন্টেট, এনবিআর নিবন্ধিত আইটিপি এবং সাধারণভাবে সকল আইনজীবী আরজেএসসি তে যাবতীয় নিবন্ধন, রিটার্ন দাখিল ও নথিভুক্তকরণের কাজে পেশাগত সহায়তা প্রদান করে থাকেন এবং একমাত্র তারাই আরজেএসসিতে কাজ করার স্বীকৃত পেশাজীবী। এর বাহিরে দক্ষ পেশাজীবী সৃজন এর নামে প্রশিক্ষণ এবং সেইসূত্রে আরজেএসসি প্র্যাকটিশনারস সার্টিফিকেট এবং নিবন্ধন নম্বরসহ আরজেএসসি রেজিস্ট্রার কর্তৃক স্মার্ট আইডি কার্ড প্রদানের উদ্যোগ কোম্পানি আইন, ১৯৯৪ এর পরিপন্থি। বিশেষত প্রশিক্ষণের জন্য বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইন্সটিটিউট (বিএফটিআই) এর ২২-০৮-২০২৪ তারিখের নোটিশে কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতার উলেস্নখ না থাকায় বর্তমানে বহিরাগত দালাল চক্র আরজেএসসিতে কোম্পানি নিবন্ধন, নথিভুক্তকরণসহ যাবতীয় কাজে জড়িত হয়ে নানাভাবে সেবা প্রত্যাশীদের প্রতারিত করছে। তাদের বৈধতা দানের জন্য এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে এবং এতে সাবেক প্রতিমন্ত্রীসহ অন্যরা আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন বলে ওই সোসাইটি জানতে পেরেছে। আমরা প্রশিক্ষণের বিরোধী নই। কিন্তু প্রশিক্ষণের নামে বহিরাগত দালালদের পেশাজীবী হিসেবে স্বীকৃতি দান এবং তাদের হাতে আরজেএসসি প্র্যাকটিশনারস সার্টিফিকেট এবং নিবন্ধন নম্বরসহ আরজেএসসি রেজিস্ট্রার কর্তৃক স্মার্ট আইডি কার্ড প্রদান একটি গভীর ষড়যন্ত্র বলে আমরা মনে করি। এমন উদ্যোগ আরজেএসসি কর্তৃক ইসু্যকৃত সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তির ও (ডি-১২১৮/১৮(৫-৩) পরিপন্থি; যেখানে দক্ষ কোম্পানি সচিব কিংবা পেশাগত সার্টিফিকেটধারী চাটার্ড একাউন্টেট, কস্ট অ্যাকাউন্টেট, চাটার্ড সেক্রেটারি, আইনজীবী, আইটিপিদের (ক্ষমতা প্রদান সাপেক্ষে) মাধ্যমে নিবন্ধনসহ অন্যান্য যাবতীয় কাজ সম্পাদন করার পরামর্শ দেওয়া হয়। আমরা তাই আরজেএসসির সেবা গ্রহীতাগণের স্মার্ট সেবা প্রদানের নামে বিগত স্বৈরাচারী সরকারের আমলের প্রণীত ছকে বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইন্সটিটিউট (বিএফটিআই) কর্তৃক ইসু্যকৃত ২২-০৮-২০২৪ তারিখের নোটিশ থেকে প্রশিক্ষণ কোর্স শেষে আরজেএসসি প্র্যাকটিশনারস সার্টিফিকেট এবং নিবন্ধন নম্বরসহ আরজেএসসি রেজিস্ট্রার কর্তৃক স্মার্ট আইডি কার্ড প্রদানের কার্যক্রম অবিলম্বে বাতিল করার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে দ্রম্নত কার্যকারী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং বাণিজ্য উপদেষ্টার সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি