পৃথক হত্যা মামলা :গ্রেপ্তার দেখানো হলো আনিসুল ও সালমানসহ ৫ জনকে

প্রকাশ | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ঢাকায় পৃথক হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরীসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। অন্য তিনজন হলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি বিনিয়োগ ও শিল্পবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুলস্নাহ আল মামুন। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত বুধবার এ-সংক্রান্ত আদেশ দেন। পাঁচজনকে কারাগার থেকে এদিন সকাল ৭টার পর ঢাকার আদালতে হাজির করা হয়। পরে তাদের বিভিন্ন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে পুলিশ। আসামিদের উপস্থিতিতে আদালত গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, এক মাসের বেশি সময় আগে রাজধানীর সদরঘাট থেকে আনিসুল হক ও সালমান এফ রহমানকে গ্রেপ্তারের কথা জানানো হয়। এরপর পৃথক চারটি হত্যা মামলায় তাদের মোট ২৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। তারা এখন কারাগারে আছেন। বুধবার সকালে তাদের আদালতে তোলা হয়। এদিন আনিসুল হককে বাড্ডা থানার পৃথক তিনটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। সালমান এফ রহমানকে বাড্ডা থানার দুটি ও খিলগাঁও থানার একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গত ২৩ আগস্ট রাতে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে শামসুদ্দিন চৌধুরীকে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আটক করে বিজিবি। পরে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। এ মামলায় তিনি সিলেটের আদালত থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর জামিন পান। বুধবার তাকে ঢাকার আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে তাকে বাড্ডা, লালবাগ ও আদাবর থানায় দায়ের করা পৃথক ছয়টি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে পুলিশ। আদালত এসব আবেদন মঞ্জুর করেন। গত ১৪ আগস্ট জুনাইদ আহ্‌?মেদকে গ্রেপ্তারের কথা জানানো হয়। পরে পৃথক তিনটি হত্যা মামলায় তার ২০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। বুধবার সকালে তাকে আদালতে হাজির করে বাড্ডা থানার তিনটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে পুলিশ। এ আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুলস্নাহ আল মামুনকে ৩ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার করার কথা জানানো হয়। পরে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় করা একটি হত্যা মামলায় তার ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। বুধবার তাকে আদালতে তুলে বাড্ডা থানার পৃথক দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গ্রেপ্তার দেখানোর শুনানি শেষে পাঁচজনকেই কারাগারে পাঠানো হয়। ছাত্র-জনতার অভু্যত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতন হয়। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, উপদেষ্টা ও শীর্ষ পর্যায়ের নেতাসহ অন্তত ৩১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।