রাবির মনোবিজ্ঞান বিভাগের দুই শিক্ষিকাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা
প্রকাশ | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
রাবি প্রতিনিধি
বিভাগে নানা অনিয়ম ও শিক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে হেনস্তা করার প্রতিবাদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মনোবিজ্ঞান বিভাগের দুই শিক্ষিকাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও পাঁচ দফা দাবি জানান তারা।
বুধবার দুপুরে মনোবিজ্ঞান বিভাগের সামনে অভিযুক্ত দুই শিক্ষিকার ছবি সংবলিত ব্যানারে 'অবাঞ্ছিত ঘোষণা' লিখে বিভাগের সামনে টানিয়ে দেয় শিক্ষার্থীরা।
অভিযুক্তরা হলেন- ড. মাহবুবা কানিজ কেয়া ও ড. নাজমা আফরোজ। তারা দু'জনেই বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আক্রমণাত্মক আচরণ, পর্যাপ্ত ক্লাস না নেওয়া এবং রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনিয়ম-অবিচার করার অভিযোগ এনে প্রফেসর ড. মাহবুবা কানিজ কেয়াকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা। অন্যাদিকে, সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে হেনস্তা, রুমে ডেকে হুমকি ও মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া এবং মিথ্যা মামলার ভয় দেখানোর অভিযোগ এনে প্রফেসর ড. নাজমা আফরোজকে বিভাগ থেকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন।
এছাড়াও শিক্ষার্থীদের ৫ দফা দাবি হলো- ১. কোনো শিক্ষক কর্তৃক কোনো শিক্ষার্থীকে হুমকি দেওয়া যাবে না এবং ব্যক্তিগত ক্ষোভ থেকে রেজাল্ট ট্যাম্পারিং করা যাবে না। ২. শিক্ষকদের মধ্যে দলাদলি বা রেষারেষি বন্ধ করতে হবে। ৩. প্রফেসর ড. নাজমা আফরোজ ও প্রফেসর ড. মাহবুবা কানিজ কেয়াকে অব্যাহতি দিতে হবে। ৪. দলীয় প্রতিহিংসার শিকার প্রফেসর ড. এনামুল হকের বিরুদ্ধে যে মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হয়েছে সঠিক তদন্তের মধ্য দিয়ে, দুই কর্মদিবসের মধ্যে তাকে একাডেমিক কাজে ফিরিয়ে আনতে হবে। এছাড়া পরিচ্ছন্নতাকর্মী শ্রী রাম হেলাকে বিভাগে ফিরিয়ে আনতে হবে।
৫. ডিপার্টমেন্টের সকল শিক্ষক শিক্ষিকাকে এই লিখিত দিতে হবে যে, উনারা ডিপার্টমেন্টের সকল কার্যক্রম (ক্লাস, পরীক্ষা এবং রেজাল্ট) রুটিন মাফিক করবেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী শিক্ষার্থী বলেন, আমরা ডিপার্টমেন্টে এই অন্যায় অবিচারের বিচার চাই। প্রফেসর ড. নাজমা আফরোজ ও ড. মাহবুবা কানিজ কেয়ার সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শিক্ষক প্রফেসর ড. মাহবুবা কানিজ কেয়ার ফোনে একাধিকবার কল দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।
জানতে চাইলে অভিযুক্ত শিক্ষক প্রফেসর ড. নাজমা আফরোজ বলেন, আমাকে ছাত্ররা অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে, কেন করেছে এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আমাকে এ বিষয়ে কেউ অবহিত করেনি।
এ বিষয়ে মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি ড. মো. মজিবুল হক আজাদ খান বলেন, ছাত্ররা তাদের যৌক্তিক দাবিতে বিভাগের সামনে অবস্থান নিয়েছিলেন। শুনেছি তারা বিভাগের দু'জন শিক্ষিকাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে। তবে এ বিষয়ে অফিসিয়াল কোনো বক্তব্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।