যাদের বিরুদ্ধে তথ্য-প্রমাণ আছে তাদের বিচার হবে :সারজিস

প্রকাশ | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

স্টাফ রিপোর্টার, মানিকগঞ্জ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যেসব সদস্য সরাসরি হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল এবং যাদের বিরুদ্ধে তথ্য-প্রমাণ আছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্তের মাধ্যমে বিচার হবে। অন্যায়কারী যেই হোক দোষী প্রমাণ হলে তার বিচার হতেই হবে। রোববার দুপুরে মানিকগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমির একটি কক্ষে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ পরিবার ও আন্দোলনে আহত ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে সারজিস আলম এসব কথা বলেন। সারজিস বলেন, পুলিশের কোনো সদস্য সরাসরি এই হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল এবং যাদের বিরুদ্ধে তথ্য-প্রমাণ আছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগতভাবে তদন্তের মাধ্যমে অবশ্যই বিচার হতে হবে। কেউ একজন অতি উৎসাহী হয়ে নিজের জায়গা থেকে ওই ফ্যাসিস্ট সরকারের কাছে মানে নিজেকে তুলে ধরার জন্য অন্যায়ভাবে নির্দেশের বাইরে গিয়ে অন্যায় নির্দেশ পালন করেছে, এ কাজগুলো যারা করেছে তারা অন্যায়কারী হিসেবে থাকবে। সে যদি পুলিশের হয় তাহলে পুলিশেরই, এটা আমাদের দেখার কোনো সুযোগ নেই। তিনি আরও বলেন, পুলিশের যদি বিচার না হয় তাহলে রাষ্ট্রের অন্য একজনের বিচার প্রশ্নবিদ্ধ হবে। সে বিচারের বাইরের কেউ না। এজন্য পুলিশের যেসব সদস্যের নাম আসছে, পুলিশ হোক বা অন্য যে কেউ হোক যে দোষী তার বিচার হতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের প্রসঙ্গে সারজিস বলেন, আপনারা যদি মামলা করতে চান, এ ক্ষেত্রে আমাদের সহযোগিতার প্রয়োজন হয়, আমরা সহযোগিতা করব। আমাদের জায়গা থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। তবে একটা জিনিস শুধু খেয়াল করবেন, দেশের বিভিন্ন জায়গায় যে জিনিসটা হচ্ছে, আমার শহীদ পরিবারের যে ভাইটা রয়েছে তাদের ব্যবহার করে অনেকে বিভিন্নভাবে মামলা দিচ্ছে যেখানে কিছু নির্দোষ মানুষকে ঢোকাচ্ছে, হয়রানি করছে। কেউ কেউ এই মামলায় নাম দেওয়া, নাম কাটা নিয়ে এক প্রকার টাকার ব্যবসা করছে। আপনারা শুধু এটুকু খেয়াল রাখবেন আমাদের যেসব ভাই দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন তাদের নামটি যেন অপব্যবহার না হয়। আপনারা যদি নিজেদের জায়গা থেকে এটা করতে চান আমাদের জায়গা থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করব। মতবিনিময় সভায় ঢাকার ধামরাইয়ে ছাত্র আন্দোলনে নিহত সাদ ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় নিহত রফিকের পরিবার ছাড়াও বেশ কয়েকজন আহত শিক্ষার্থী ছিলেন। যারা আন্দোলনের অভিজ্ঞতা ও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে নিজেদের অভিমত ব্যক্ত করেন। উলেস্নখ্য, সমন্বয়ক সারজিস আলমসহ ১০ জনের একটি সমন্বয়ক টিম রোববার সকাল ১০টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এসে পৌঁছান। এরপর জেলা-উপজেলা থেকে আগত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রায় ২ ঘণ্টার আলোচনায় অংশ নেন। পরে দুপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে মানিকগঞ্জের শহীদ পরিবার ও আন্দোলনে আহত ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।