মন্দিরে নিরাপত্তা না দিতে পারায় মাজারে হামলা হচ্ছে

মন্তব্য জাতীয় নাগরিক কমিটির

প্রকাশ | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয় নাগরিক কমিটি -সংগৃহীত
দেশের বিভিন্ন মন্দিরে হামলা হয়েছে। যথাযথ নিরাপত্তা দেওয়ার কথা জানালেও সেখানে সরকার সঠিক ভূমিকা নিতে পারেনি। আজ এসবের পরম্পরায় মাজারের ওপর হামলা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন। শনিবার বিকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, সদস্যসচিব আখতার হোসেনসহ অন্য নেতারা। লিখিত বক্তব্যে সামান্তা শারমিন বলেন, মন্দির-মাজার যারা ভাঙছে তাদের বিরুদ্ধে এখনো কেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নিচ্ছে না, এই প্রশ্ন আমরা সরকারের কাছে রাখছি। আমরা আশা করি, সরকার অতিদ্রম্নত এসব রুখে দিতে ব্যবস্থা নেবে। তা না করতে পারলে সরকার এবং দেশ উভয়ের জন্য ক্ষতির কারণ হবে। তিনি বলেন, একই সঙ্গে যারা এসব কাজে জড়িত, তাদের উদ্দেশে আমরা বলতে চাই, তারা দেশ ও গণ-অভু্যত্থানের শত্রম্ন। ফ্যাসিবাদের বিভিন্ন দেশি-বিদেশি মিত্রশক্তি এই মুহূর্তে গণ-অভু্যত্থানকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে। এসব ঘটনা তাদের এই কাজে রসদ জোগাচ্ছে। আমাদের মনে রাখতে হবে, যারা এসব ঘটাচ্ছে তারা বাংলাদেশের বিপক্ষে দাঁড়াচ্ছে। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি এসব ঘটনার পেছনে কাদের উসকানি আছে তা খতিয়ে দেখার জন্য। সামান্তা শারমিন আরও বলেন, এসব নিয়ে সরকারের কাছ থেকে যে প্রতিক্রিয়া মানুষ আশা করছিল, তা পূরণ করতে পারেনি সরকার। কেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে না, এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য সরকারের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি। যেকোনো ইসু্যতে সরকারের তৎপরতা খুবই মন্থর ও ধীরগতির। সরকারকে মনে রাখতে হবে, তারা গণ-অভু্যত্থানের সরকার। ছাত্র-জনতার অভু্যত্থানের আকাঙ্ক্ষা যদি তারা ধারণ করতে না পারে তা হবে দেশের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর। বাংলাদেশের জনগণের কাছে আহ্বান জানিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটির এই মুখপাত্র বলেন, অভু্যত্থান রক্ষার দায়িত্ব আপনাদের। ফলে যারাই অভু্যত্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়, তাদের সামাজিকভাবে প্রতিহত করুন। সবাইকে মনে রাখতে হবে, আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া অপরাধ। ফলে যারা মব জাস্টিসসহ নানান কিছুতে অংশগ্রহণ করছে তাদেরও গ্রেপ্তারের দাবি আমরা জানাচ্ছি। আমাদের মনে রাখতে হবে, বিভিন্ন রাজনৈতিক, প্রশাসনিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের ব্যানারে ফ্যাসিবাদী শক্তির পুনর্বাসন প্রক্রিয়া চলছে। এ ব্যাপারে আমরা সজাগ আছি। একই সঙ্গে এ বিষয়ে জনগণকে সজাগ থাকারও আহ্বান জানাচ্ছি।