গুম হওয়া ৬৪ ব্যক্তির
তালিকা কমিশনে
পাঠালেন প্রধান
বিচারপতি
ম যাযাদি রিপোর্ট
বাংলাদেশে বিভিন্ন সময় গুম হওয়া ৬৪ ব্যক্তির সন্ধান চেয়ে পরিবারগুলোর দেওয়া স্মারকলিপিটি গুম অনুসন্ধান কমিশনের কাছে পাঠিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
সুপ্রিম কোর্টের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, জোরপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানের জন্য গঠিত তদন্ত কমিশনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ৬৪ জনের নাম, ছবি, ঠিকানাসহ দেওয়া স্মারকলিপিটি পাঠানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই স্মারকলিপির সঙ্গে সংযুক্ত গুম হওয়া ব্যক্তিদের তালিকা গুম অনুসন্ধান কমিশনের তদন্তের কাজে সহায়ক হতে পারে বলে প্রধান বিচারপতি এ স্মারকলিপিটি কমিশনের কাছে পাঠিয়েছেন।
এর আগে ২৮ আগস্ট 'গুম পরিবারের সদস্য' ব্যানারে গুম হওয়া ব্যক্তিদের স্বজনরা প্রধান বিচারপতির কাছে একটি স্মারকলিপি দেন।
এই স্মারকলিপিতে গুমের অপরাধ সংঘটনকারী ব্যক্তিদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবু্যনালে বিচারের ব্যবস্থা করা, পরিবারগুলোর আর্থিক ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেওয়া, সরকারি খরচে মামলা পরিচালনার ব্যবস্থাসহ আটটি বিষয়ে প্রধান বিচারপতির সহযোগিতা চাওয়া হয়।
এ ছাড়া গুম হওয়া ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া না গেলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সম্পত্তি বিক্রয় বা হস্তান্তরের জন্য বিশেষ সনদ দেওয়ার ব্যবস্থা করার কথাও বলা হয়েছে এই স্মারকলিপিতে।
ঢাবিতে সব ধরনের
রাজনীতি নিষিদ্ধের
দাবিতে বিক্ষোভ
ম যাযাদি ডেস্ক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ সব ধরনের দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ।
শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলপাড়ায় জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। এরপর বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে যান তারা। সেখানে গিয়ে সমাবেশ করেন তারা।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম একটি দফা ছিল ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা। কিন্তু সেই কথাটা অনেকেই এখন ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বলার চেষ্টা করছেন। যেখানে দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ হলেই দখলদারত্ব, চাটুকারিতার রাজনীতির রাস্তা বন্ধ হয় সেখানে ইনিয়ে বিনিয়ে কথা বলার মানে হয় না। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, ক্যাম্পাসে ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব ধরনের দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। একইসঙ্গে কালক্ষেপণ না করে ছাত্র সংসদ চালু করতে হবে।
তারা বলেন, হলগুলোতে গেস্টরুম, গণরুমের নামে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর শারীরিক ও মানসিক প্রহসন চালানো হয় শুধু রাজনৈতিক দলগুলোর ফ্যাসিবাদী স্বার্থ হাসিল করার জন্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এ ধরনের নোংরা দলীয় রাজনীতির বিপক্ষে অবস্থান করছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিরাজনীতিকরণের পক্ষে নয়। বরং গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অভিভাবক নির্বাচন করার পক্ষে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবি।
আগামী ২২ সেপ্টেম্বর ক্লাস শুরু হওয়ার কথা থাকলেও রাজনীতি দাবি নিষিদ্ধ হওয়ার আগে ক্লাসে না ফেরার কথা জানান শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা 'ক্যাম্পাস পলিটিক্স-নো মোর নো মোর', 'দলীয় রাজনীতির ঠিকানা-এ ক্যাম্পাসে হবে না', 'হলে হলে খবর দে- ছাত্র রাজনীতির কবর দে' ইত্যাদি স্স্নোগান দেন।