রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

আংশিক উৎপাদনে ফিরেছে বড়পুকুরিয়া তাপ বিদু্যৎকেন্দ্র

পার্বতীপুর ও ফুলবাড়ি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
  ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
আংশিক উৎপাদনে ফিরেছে বড়পুকুরিয়া তাপ বিদু্যৎকেন্দ্র

তিন দিন বন্ধ থাকার পর আংশিকভাবে উৎপাদন শুরু হয়েছে দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া তাপ বিদু্যৎকেন্দ্রে। বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে এই কেন্দ্রের ১ নম্বর ইউনিটের উৎপাদিত বিদু্যৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে। গত ৯ সেপ্টেম্বর তৃতীয় ইউনিটের বিদু্যৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ার মাধ্যমে এই কেন্দ্রের বিদু্যৎ উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।

শুক্রবার বড়পুকুরিয়া তাপ বিদু্যৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আবু বকর সিদ্দিকী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, 'বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টা থেকে এই কেন্দ্রের ১ নম্বর ইউনিটটি চালু করা হয়। রাত সাড়ে ৮টা থেকে উৎপাদিত বিদু্যৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ শুরু হয়। শুরুতেই ১২৫ মেগাওয়াট বিদু্যৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন এই ইউনিট থেকে ৬০ থেকে ৭০ মেগাওয়াট বিদু্যৎ উৎপাদিত হচ্ছে।'

জানা যায়, যান্ত্রিক ত্রম্নটির কারণে ১ নম্বর ইউনিটটি গত ৭ সেপ্টেম্বর বন্ধ হয়ে যায়। ৯ সেপ্টেম্বর ২৭৫ মেগাওয়াট বিদু্যৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন তৃতীয় ইউনিটিও বন্ধ হয়ে যায়।

এদিকে ২০২০ সালের নভেম্বর মাস থেকে এই কেন্দ্রের ১২৫ মেগাওয়াট বিদু্যৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন দ্বিতীয় ইউনিটটি বন্ধ রয়েছে ওভার হোল্ডিং কাজের জন্য। ফলে গত ৯ সেপ্টেম্বর তৃতীয় ইউনিটের বিদু্যৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ার মাধ্যমে এই কেন্দ্রের বিদু্যৎ উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এ অবস্থায় কেন্দ্রটি থেকে কোনো বিদু্যৎ জাতীয় গ্রিডে যোগ হচ্ছিল না। এতে করে লোডশেডিংয়ের মাত্রা বেড়ে যায় পুরো দেশে।

ওই সময়ে কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্তরা এক সপ্তাহের মধ্যে এক নম্বর ইউনিটটি চালু করার কথা বলেছিলেন। এর আগেই এই ইউনিটটি চালু করেছে কর্তৃপক্ষ। দ্রম্নত সময়ের মধ্যে তৃতীয় ইউনিটটিও চালুর কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ইলেক্টো হাইড্রোলিক ওয়েল পাম্পের ত্রম্নটির কারণে তিন নম্বর ইউনিটটি বন্ধ করে রাখা হয়েছে।

যদিও এর আগে গত ৩১ জুলাই যান্ত্রিক ত্রম্নটির কারণে কেন্দ্রের ৩নং ইউনিটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। পরে ১ মাস ৬ দিন বন্ধ থাকার পর গত ৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৩য় ইউনিটটির উৎপাদন শুরু হয়। যা দুই দিন পরেই ৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ওয়েল পাম্প নষ্ট হওয়ার কারণে আবারও বন্ধ হয়ে যায়।

এদিকে জাতীয় গ্রিডে বিদু্যৎ সরবরাহের কারণে লোডশেডিং কমেছে দিনাজপুরসহ উত্তরের জেলাগুলোতে। কৃষিক্ষেত্রে চাষাবাদে বিদু্যৎ নির্ভর সেচযন্ত্রের পাশাপাশি ভোগান্তি কমেছে অন্যান্য সেক্টরে। উৎপাদনে প্রাণচাঞ্চল্য বেড়েছে চালকলসহ শিল্প-কারখানায়।

দেশের প্রথম কয়লাভিত্তিক এই কেন্দ্রটি পার্শ্ববর্তী বড়পুকুরিয়া কয়লাখনিতে উত্তোলিত কয়লা পুড়িয়ে বাষ্পচালিত ইঞ্জিনের মাধ্যমে বিদু্যৎ উৎপাদন করা হয়ে থাকে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে