রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

চাকরি গেল আরও দুই লেফটেন্যান্ট জেনারেলের

যাযাদি রিপোর্ট
  ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
চাকরি গেল আরও দুই লেফটেন্যান্ট জেনারেলের

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর চাকরি খোয়ানো শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের তালিকায় যুক্ত হলো আরও দুজন তিন তারকা জেনারেলের নাম।

তাদের মধ্যে আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ডের (আর্টডক) জিওসি লেফটেন্যান্ট জেনারেল মজিবুর রহমানকে বরখাস্ত করা হয়েছে, যিনি এক সময় শেখ হাসিনার নিরাপত্তায় নিয়োজিত স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) মহাপরিচালক ছিলেন। আর ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের (এনডিসি) সাবেক কমান্ড্যান্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহাম্মদ সাইফুল আলমকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে, যিনি একসময় প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা পরিদপ্তর ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালক ছিলেন।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গত মঙ্গলবার এ দুই সেনা কর্মকর্তার বরখাস্ত ও বাধ্যতামূলক অবসরের আদেশ জারি করে বলে নিশ্চিত করেছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর।

আর্টডকে দায়িত্ব পাওয়ার আগে লেফটেন্যান্ট জেনারেল মজিবুর রহমান ছিলেন সেনা সদরের কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল (কিউএমজি)।

হোলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার পর 'অপারেশন থান্ডারবোল্ট' পরিচালনা করে আলোচনায় আসা এই সেনা কর্মকর্তা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ওর্ যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের র্(যাব) অতিরিক্ত মহাপরিচালকও ছিলেন।

পরে তাকে এসএসএফের মহাপরিচালক করে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়। সে সময় তিনি শেখ হাসিনার সঙ্গে বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেন।

আর লেফটেন্যান্ট জেনারেল সাইফুল আলমকে সরকারপতনের পর সেনাবাহিনী থেকে সরিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়। সেনাবাহিনীতে তার সর্বশেষ পোস্টিং ছিল ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে।

তার আগে তিনি সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল, ডিজিএফআই প্রধান এবং ১১ পদাতিক ডিভিশনের জিওসির দায়িত্ব পালন করেন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) গত ৪ সেপ্টেম্বর এই সেনা কর্মকর্তার ব্যাংক হিসাব জব্দ করে। তার স্ত্রী ও সন্তানদের নামে থাকা অ্যাকাউন্ট এবং তাদের মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের হিসাবও স্থগিত করা হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে