যৌথ বাহিনীর অভিযানে গ্রেপ্তারের পর মৃত দুইজনসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
প্রকাশ | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
গাইবান্ধা প্রতিনিধি
গাইবান্ধার সাঘাটায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে গ্রেপ্তারের পর মৃত দুই ব্যক্তিসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধেই মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া সোহরাব হোসেন আপেল ও শফিকুল ইসলামের মৃতু্যর ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে সাঘাটা উপজেলার ভরতখালী বাজার এলাকার সড়কে স্বজন ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে নিহত ও আহতদের স্বজন ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন আমিনুল ইসলাম গোলাপ, মনজুর আলম মিঠু, মাসুদার রহমান মাসুদ, সিরাজুল ইসলাম সাজু প্রমুখ। বক্তারা বলেন, গ্রেপ্তারের পর চেয়ারম্যান সুইটসহ ৫ জনকে মারপিট ও নির্যাতন করে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। ফলে আপেল ও শফিকুলের মৃতু্য হয়েছে। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।
এদিকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এডমিন অ্যান্ড ফিন্যান্স) ইবনে মিজান। তিনি জানান, যৌথ বাহিনীর অভিযানে গ্রেপ্তার ৫ জনের বিরুদ্ধে সাঘাটা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) দীপক কুমার রায় বাদী হয়ে 'অস্ত্র ও বিস্ফোরকদ্রব্য' আইনে বুধবার রাতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিরা হলেন- সাঘাটা ইউনিয়ন আ'লীগের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন সুইট (৪৫), গোবিন্দী বাঁশহাটি এলাকার সেরায়েত আলীর ছেলে শাহাদাৎ হোসেন পলাশ (৪৫), উত্তর সাথালিয়া গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে রিয়াজুল ইসলাম রকি (২৮), গোবিন্দী এলাকার রোস্তম আলীর ছেলে সোহরাব হোসেন আপেল (৩৫) ও একই এলাকার মালেক উদ্দিনের ছেলে শফিকুল ইসলাম (৪৫)।
মৃত ব্যক্তির নামে মামলা প্রসঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইবনে মিজান বলেন, 'মামলার চার্জশিটে তাদের নাম বাদ পড়বে'। তবে মৃত ব্যক্তির নামে মামলা প্রসঙ্গে এই মামলার বাদী ও সাঘাটা থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) দীপক কুমার রায়ের দাবি, ওই দুই ব্যক্তির মৃতু্যর আগেই মঙ্গলবার সকালে পাঁচজনের বিরুদ্ধেই মামলা দায়ের করা হয়েছে।
উলেস্নখ্য, গত ৯ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে সাঘাটা উপজেলার সাঘাটা ইউনিয়নের ভরতখালীর গোবিন্দী এলাকা থেকে তাদের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আসামিদের মধ্যে ১০ আগস্ট সোহরাব হোসেন আপেল ও শফিকুল ইসলামকে যৌথ বাহিনীর গ্রেপ্তারের পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা যান। পরে তাদের ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।