বরিশাল নগরীর পোস্টাল কলোনির মাঠ থেকে আবারও টিয়ারশেল গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার সকালে নগরীর ফরেস্টার বাড়ি এলাকার পোস্টাল অফিসের কর্মচারীরা গ্রেনেডটি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পরে অবিস্ফোরিত গ্রেনেডটি সেনাবাহিনীর বিস্ফোরক ইউনিট উদ্ধার করে। এর আগে ৯ সেপ্টেম্বরও একই স্থান থেকে আরেকটি গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি মডেল থানার সহকারী কমিশনার নাফিসুর রহমান। পোস্টাল কলোনির পরিচ্ছন্ন কর্মী জনি হেলাল জানান, বুধবার সকালে কলোনির মধ্যকার মাঠের ঘাস পরিষ্কার করতে গেলে গ্রেনেডটি দেখতে পান। তাৎক্ষণিক তিনি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালে ৯৯৯-এ নম্বরে ফোন দিয়ে অবগত করা হয়। তিনি আরও জানান, একই মাঠের মধ্যে গত ৯ সেপ্টেম্বর আরেকটি গ্রেনেড দখতে পান তিনি। তখনো বিষয়টি প্রশাসনকে জানালে সেটি উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করা হয়।
কোতোয়ালি মডেল থানার সহকারী কমিশনার নাফিসুর রহমান জানান, বুধবার সকালে ৯৯৯-এ ফোন করা হলে তারা বিষয়টি জানাতে পারেন। এরপর পুলিশ ফরেস্টার বাড়ি এলাকা ঘিরে রাখে। পরে স্থানীয় পোস্টাল কলোনির দেওয়াল ঘেঁষা এলাকায় পরিত্যক্ত অবস্থায় গ্রেনেডটি দেখতে পায় পুলিশ। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে সেনাবাহিনীকে জানানো হলে তাদের একটি বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ টিম গ্রেনেডটি উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করেন। তবে উদ্ধারকৃত গ্রেনেডটি এখানে কিভাবে এলো তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এটি মূলত টিয়ারশেল গ্রেনেড। উদ্ধারকৃত গ্রেনেডটি একটি আধুনিক প্রযুক্তির। এটি হাত দিয়ে ব্যবহার করতে হয়। পুলিশ এই গ্রেনেড ব্যবহার করে না।
মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার উপ-কমিশনার জাকির হোসেন মজুমদার বলেন, ছাত্র আন্দোলনের সময় ওই এলাকাটিতে ব্যাপক সহিংসতা হয়েছিল। ওই সময় কোনো পক্ষ থেকে গ্রেনেডটি রাস্তার পার্শ্ববর্তী পোস্টাল কলোনির মাঠে পড়ে যেতে পারে।
উলেস্নখ্য, এর আগে সোমবার একই স্থানে ডাক বিভাগের মেইল প্রসেসিং (পোস্টাল) অফিসের বাউন্ডারির ভেতর থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় আরেকটি গ্রেনেড উদ্ধার হয়েছিল।