নড়াইলের লোহাগড়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রম্নপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুই ভাই নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন নিহতদের আরেক ভাই। বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় উপজেলার চর মলিস্নকপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতেরা হলেন- উপজেলার চর মলিস্নকপুর গ্রামের মৃত ছামাদ শেখের ছেলে মিরান শেখ (৪২) ও জিয়ারুল শেখ (৩৭)। গুরুতর আহত আরেক ভাই ইরান শেখ (৩৫)।
নিহতদের স্বজনরা জানান, চর মলিস্নকপুর গ্রামে সামাজিকভাবে দুটি দল রয়েছে। এক পক্ষের নেতৃত্ব দেন নড়াইল জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফেরদৌস রহমান এবং অন্য পক্ষের নেতৃত্ব দেন লোহাগড়া উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক খান মাহমুদ আলম। যারা নিহত হয়েছেন তারা ফেরদৌস রহমানের পক্ষের লোক।
স্থানীয়রা জানান, গত ৭ সেপ্টেম্বর রাতে কে বা কারা চর মলিস্নকপুর গ্রামের সিরাজ শেখের ছেলে লিন্টু শেখের গাছ কেটে দেয়। গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে ফেরদৌস রহমান ও খান মাহমুদ আলমের লোকজনের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে মঙ্গলবার রাতে দু'পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হলে উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) নেতৃত্বে সেনাবাহিনী সদস্য ও পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়। এ সময় স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ গ্রামের দু'পক্ষের মাতুব্বররা উপস্থিত ছিলেন। মীমাংসা হওয়ার পর বুধবার সকালে আবারও দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এ বিষয় নিয়ে এদিন বিকালে ফের বসার কথা ছিল, যাতে বিষয়টি মীমাংসা হয়। এরপর যার যার মতো বাড়িতে চলে যায়। বাড়িতে যাওয়ার সময় একই গ্রামের কালাম হুজুরের বাড়ির সামনে থেকে মাহমুদ খানের অনুসারী লোকজন ফেরদৌসের লোকজনের ওপর হামলা চালালে দুই গ্রম্নপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় কয়েকজন আহত হন। আহতদের লোহাগড়া স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মিরান শেখ ও জিয়ারুল শেখ দুই ভাইকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত আরেক ভাইকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে।
নড়াইল জেলা পুলিশ সুপার কাজী এহসান কবির সাংবাদিকদের বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রম্নত গ্রেপ্তার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে জন্য পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। অপরাধী যেই হোক তাদের কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না। এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। কোনো ধরনের সহিংসতা যেন আর না হয় এ কারণে ওই গ্রামে সেনাবাহিনীসহ পুলিশের একাধিক টিম মোতায়েন রয়েছে।