বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাট, চাঁদাবাজি এবং দখলের অভিযোগে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এবং আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপস্নব বড়ুয়াসহ ১৬৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় আরও ১০০ থেকে ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। আদালত অভিযোগটি তদন্ত করে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে পুলিশ বু্যরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন মহানগর তাঁতি দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- হাছান মাহমুদের ভাই খালেদ মাহমুদ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মো. জহুরুল আলম জসিম, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুল মোনাফ চৌধুরী, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজান, রাঙ্গুনিয়া উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সামশুল আলম তালুকদার, কৃষক লীগ নেতা মো. শফিকুল ইসলাম ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইউনুছ প্রমুখ।
মামলার এজাহারে উলেস্নখ করা হয়, ২০১৯ সালের ২ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম আকবরশাহ থানার বেলতলী ঘোনা এলাকায় আসামিরা পরিকল্পিতভাবে গিয়ে শত শত ঘরবাড়ি ভাঙচুর-লুটপাট করে এবং হাজার হাজার মানুষকে বাড়িঘর থেকে বের করে এলাকা ত্যাগে বাধ্য করে। পরে স্থানীয় সাবেক চসিক কাউন্সিলর জহুরুল আলম জসিম তার প্রভাব খাটিয়ে সেসব পস্নট এবং বাড়িঘর বিক্রি করে এবং অন্য আসামিরা তা ভোগ করে। পরবর্তীতে একই বছরের ১০ ডিসেম্বর আসামিরা বাদীর কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে না পারার কারণে আসামিরা অস্ত্রশস্ত্রসহ বাদী ও তার পরিবারের সদস্যদের আটকে রাখে। বাদী ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ৭টি দোকান এবং ১৩টি ঘর ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল ৭ সেট খালি স্ট্যাম্পে জোরপূর্বক স্বাক্ষর আদায় করে দখল করে।
মামলার বাদীর আইনজীবী জিয়াউল হক জিয়া বলেন, আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগটি তদন্ত করে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে পুলিশ বু্যরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।