ইতালির ভিসাসহ পাসপোর্ট ফেরতের দাবিতে গণ-অবস্থান
প্রকাশ | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
ইতালির ভিসাসহ জরুরি ভিত্তিতে পাসপোর্ট ফেরতের দাবিতে রাজধানীর গুলশানের বিচারপতির শাহাবুদ্দিন আহমেদ পার্কে গণ-অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন আবেদনকারীরা। সোমবার সকাল থেকে দ্রম্নত ভিসাসহ পাসপোর্ট ফেরত পাওয়ার দাবিতে এই গণ-অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন হাজারো ভুক্তভোগী।
এ সময় বিভিন্ন ধরনের সেস্নাগান দিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। পরে মিছিল নিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করলে নিরাপত্তা বাহিনীর বাধার মুখে পড়েন তারা।
আবেদনকারীদের অভিযোগ, কৃষি ভিসা আবেদনের সময় ৯০ দিন প্রসেসিং সময় দিয়েছিল দূতাবাস। কিন্তু আবেদনকারীদের অনেকেরই দুই থেকে আড়াই বছর পর্যন্ত পাসপোর্ট ফেরত দেয়নি। অন্যদিকে পাসপোর্ট হাতে না পাওয়ায় বিকল্প দেশেও তারা যেতে পারছেন না।
সরেজমিন দেখা গেছে, গুলশানের বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ পার্কের উত্তর-পূর্ব কোণে অবস্থান নেন কয়েক শতাধিক লোক। এ সময় তারা 'ভিসাসহ পাসপোর্ট ফেরত চাই', 'অপেক্ষার আর সময় নাই', 'ইতালির দূতাবাসের ভিসা সেকশনের কর্মদক্ষতা বাড়ানোর জন্য ১০ গুণ লোক চাই,' 'দেশের জন্য পরিবারের জন্য একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধা হতে চাই,' 'ইতালি ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রে বৈষম্য বন্ধ করো,' সেস্নাগান সংবলিত ব্যানার, পস্ন্যাকার্ড নিয়ে সেস্নাগান দেন।
অবস্থানকারীরা জানান, অনেকেরই ভিসা প্রসেসিং করার সময় তাকে ৯০ দিনের সময় দেওয়া হয়েছিল। প্রায় এক বছর হতে চললো, কোনো আপডেট জানানো হয়নি।
বাংলাদেশ প্রবাসী উন্নয়ন সমিতি বলছে, ইতালি গমনেচ্ছু লাখেরও বেশি বাংলাদেশি নাগরিকের পাসপোর্ট আটকে আছে দেশটির দূতাবাসে। আবেদনের এক বছর বা তার বেশি সময় পরও ভিসা না পাওয়ায় তারা দেশেও কোনো কাজ করতে পারছেন না। তাই বিষয়টি দ্রম্নত সমাধানে অন্তর্র্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তারা।
এদিকে এক বিজ্ঞপ্তিতে ইতালি দূতাবাস জানিয়েছে, দাবির প্রেক্ষিতে আবেদনকারীদের কয়েকজন প্রতিনিধিকে নিয়ে দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন বৈঠক করেন। বৈঠকে দূতাবাস ইতালিতে কাজের ভিসা প্রক্রিয়াকরণে বিদ্যমান বিলম্বের জন্য আইনি, প্রযুক্তিগত ও লজিস্টিক ব্যাখ্যা দেয়। আবেদনকারীদের সতর্ক করা হয়েছিল যে কোনো মধ্যস্থতাকারী বা মধ্যস্থতাকারীকে অর্থ প্রদান বা বিশ্বাস করবেন না, যারা বর্তমান বিলম্বের প্রধান কারণ।
এর আগে আবেদনকারীদের জাল বা মিথ্যা নথি উপস্থাপন না করার জন্যও সতর্ক করা হয়েছিল। জাল নথি বা আর্থিক বিবৃতি তৈরি করা, ইতালি ও বাংলাদেশি উভয় আইনের অধীনে গুরুতর অপরাধ। এই দুঃখজনক কাজে ইতালিতেও যথাযথ তদন্ত চলছে।