দেশে প্রতি ৪ জনে একজন কোমর ব্যথায় ভুগছেন

চট্টগ্রামে ফিজিওথেরাপি দিবসের আলোচনায় বক্তারা

প্রকাশ | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

চট্টগ্রাম বু্যরো
বিশ্ব ফিজিওথেরাপি দিবসের আলোচনায় বক্তারা বলেছেন, গবেষণা অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রতি ৪ জনে একজন কোমর ব্যথায় ভুগছেন। ব্যথা হলেই ব্যথার ওষুধ বা অপারেশন সমাধান নয়। কোমর ব্যথার কারণ নির্ণয় করে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। রোববার চট্টগ্রামের ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকদের আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিওথেরাপিস্ট নিউরো এন্ড স্পোর্টস ফিজিও বিশেষজ্ঞ বাংলাদেশ ফিজিওথেরাপি সোসাইটির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ডা. মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, প্রয়াস চট্টগ্রাম শাখার ফিজিও ডা. জাহেদ ও বিশেষজ্ঞ ফিজিও ডা. শহীদ খানসহ অন্যান্য ফিজিওথেরাপিস্ট, বিভিন্ন ফিজিওথেরাপি সেন্টারের পরিচালক, মেডিকেল টেকনোলোজিস্ট, বিভিন্ন রোগী ও অভিভাবক। বিশ্ব ফিজিওথেরাপি দিবসে এবারের আন্তর্জাতিক হ প্রতিপাদ্য বিষয় 'কোমড় ব্যথা ব্যবস্থাপনা ও প্রতিরোধে ফিজিওথেরাপিস্টের ভূমিকা রয়েছে'। সভায় আলোচকরা আইনের ধারা তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল আইন- ২০১৮ অনুযায়ী ফিজিওথেরাপি প্রেসক্রিপশন এবং চিকিৎসা প্রদানকারী ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক তথা ফিজিওথেরাপিস্ট হওয়ার নূ্যনতম যোগ্যতা স্বীকৃত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা অনুষদ অধিভুক্ত প্রদত্ত ৫ বছর মেয়াদি ব্যাচেলর অব সায়েন্স ইন ফিজিওথেরাপি (প্রফেশনাল) ডিগ্রি। তারা রিহ্যাবিলিটেশন প্র?্যাক্টিশনার হিসেবে পেশাগত দায়িত্ব পালন করবেন। অনুরূপভাবে বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদ থেকে ৩/৪ বছর মেয়াদি ডিপেস্নামা ইন মেডিকেল টেকনোলোজি (ফিজিওথেরাপি) তে সনদপ্রাপ্ত রিহ্যাবিলিটেশন টেকনোলজিস্টগণ আইন অনুসারে ফিজিওথেরাপিস্টদের তত্তাবধানে সেবা প্রদান করবেন। কোনোভাবেই ডিপেস্নামাধারী মেডিকেল টেকনোলোজিস্ট বা টেকনিশিয়ানগণ নিজেদের ফিজিও দাবি করা বা সরাসরি ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা করার সুযোগ নেই। এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জনগণকে সচেতন হতে হবে। উলেস্নখ্য, ফিজিওথেরাপিতে কোনো প্রকার সনদ নেই অথবা ডিপেস্নামাধারী মেডিকেল টেকনোলজিস্ট বা ফিজিওথেরাপিতে অধ্যয়নরত (ইন কোর্স বা অন কোর্স) এমন অনেকেই নিজেদের ফিজিওথেরাপিস্ট তথা ফিজিও পরিচয় দিয়ে সাধারণ রোগীদের ধোকা দিয়ে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা করে যাচ্ছেন। অথচ রোগীরা জানেনা কে ফিজিওথেরাপিস্ট বা কে টেকনোলোজিস্ট বা কে টেকনিশিয়ান। এই বিষয়ে জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। সভায় রোগীদের প্রশ্নের জবাবে ভুয়া ফিজিওথেরাপিস্টদের বিরুদ্ধে করণীয় হিসেবে বলা হয়, যেহেতু অনেকে আইন না মেনে ফিজিওথেরাপিতে ৫ বছর মেয়াদি স্নাতক ডিগ্রি না নিয়ে নিজেদের ফিজিও পরিচয় দিয়ে চিকিৎসা করে যাচ্ছেন, তাদের একটি তালিকা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে জমা দেওয়া হয়েছে। তথ্য গোপন করে অনেকেই বিপিটি ডিগ্রি না নিয়ে চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ায় ভোক্তারা প্রতারিত হচ্ছেন। তাই এই সংস্থাটি আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন।