আশুলিয়ায় শ্রমিক অসন্তোষ কাজে না বসায় ৩৪ কারখানায় ছুটি

প্রকাশ | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ঢাকার আশুলিয়ায় রোববার অধিকাংশ পোশাক কারখানার শ্রমিকরা নির্ধারিত সময় কর্মস্থলে উপস্থিত হলেও কাজে বসেননি। এজন্য বেশ কিছু কারখানায় ছুটি দেওয়া হয়েছে। শিল্পপুলিশ ও কারখানা কর্তৃপক্ষ জানায়, এদিন সকালে আশুলিয়ার সব কারখানা খোলা ছিল। শ্রমিকরা যথাসময়ে কর্মস্থলে উপস্থিত হন। তবে কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা কাজ না করে বসে থাকেন। তারা মালিকপক্ষের কাছে বিভিন্ন দাবি দাওয়া পেশ করেন। পুলিশ জানায়, যেসব কারখানার শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে বসে ছিলেন, বেলা ১২টার দিকে কর্তৃপক্ষ ওইসব কারখানা ছুটি দিয়ে দেয়। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর আশপাশের অনেক কারখানা ছুটি দেয়। রোববার বিকাল ৪টায় সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, শ্রমিক অসন্তোষের কারণে শিল্পাঞ্চলের ৩৪টি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়। সংশ্লিষ্টরা জানান, দুপুর ১টার দিকে নরসিংহপুর এলাকার হা-মীম গ্রম্নপের কারখানা বন্ধ দেখা গেছে। পাশের শারমিন গ্রম্নপের কারখানার ভেতর থেকে শ্রমিকদের হট্টগোলের খবর পাওয়া গেছে। কারখানার ফটকের সামনে সেনাবাহিনী ও বিজিবি সদস্যদের সর্বোচ্চ সতর্কতায় দেখা যায়। পরে কর্তৃপক্ষ ছুটি দিয়ে দেয়। শিল্পপুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সারোয়ার আলম সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, 'সকালে নির্ধারিত সময়ে শ্রমিকরা কারখানায় উপস্থিত হয়েছেন। আল মুসলিম, মন্ডল ও নিউএইজ গ্রম্নপের কারখানার শ্রমিকরা তাদের দাবি আদায় না হওয়ায় কাজ বন্ধ করে বসে থাকেন। পরে কারখানাগুলোতে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। বিষয়টি জানার পর নিরাপত্তার স্বার্থে পর্যায়ক্রমে অন্যান্য কারখানা ছুটি ঘোষণা করে।' এসপি মোহাম্মদ সারোয়ার আলম আরও বলেন, 'কখন যে কোন কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দেয় তা আঁচ করা যায় না। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত বিভিন্ন কারখানায় পর্যায়ক্রমে এসব শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনা ঘটে।' বাংলাদেশ গামের্ন্ট ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের আইনবিষয়ক সম্পাদক খায়রুল মামুন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, 'আশুলিয়ায় ২ শতাংশের কম কারখানায় সমস্যা হচ্ছে। গিল্ডান, নাসা গ্রম্নপসহ যেসব কারখানার মালিক আন্তরিক ছিলেন, সেগুলোর সমাধান হয়ে গেছে। মালিকপক্ষ একটু আন্তরিক হলেই সমস্যার সমাধান। বিভিন্ন কারখানার আন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছ, তাদের অধিকাংশ দাবিগুলোর বিষয়ে শ্রম আইনেই বলা আছে। সে ক্ষেত্রে মালিকপক্ষ শুধু শ্রমিকদের শ্রম আইন অনুসারে কারখানা পরিচালিত হবে এবং এর বাইরে হাজিরা বোনাসের বিষয়টি উভয়পক্ষ আলোচনা করে ঠিক করে নিলেই সমস্যার সমাধান সম্ভব। কয়েক দিন ধরে আশুলিয়ার শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক অসন্তোষ চলছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে কারখানার নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুরো শিল্পাঞ্চলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে। বিভিন্ন কারখানার সামনে সেনাবাহিনী, শিল্প পুলিশ, এপিবিএন পুলিশ ও র?্যাব সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন। এছাড়া নবীনগর-চন্দ্রা ও আব্দুলস্নাহপুর-বাইপাইল সড়কে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে।