বগুড়া আদালত চত্বরে হিরো আলমের ওপর হামলা

প্রকাশ | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

বগুড়া প্রতিনিধি
মামলা করতে এসে রোববার বগুড়ার আদালত চত্বরে হামলার শিকার হন আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম -ফোকাস বাংলা
বগুড়ায় মামলা করতে এসে আদালত চত্বরে হামলার শিকার হয়েছেন আলোচিত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ এনে রোববার দুপুরে এই হামলা চালায় কয়েকজন যুবক। মারধরের একপর্যায়ে কান ধরেও ওঠাবসা করানো হয় আলমকে। পরে হামলাকারীদের থেকে মুক্ত হয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এ সময় আলম বলেন, 'এক স্বৈরাচারকে তাড়িয়েছি কি আরেক স্বৈরাচারকে ক্ষমতায় আনতে। বিএনপি ক্ষমতায় না আসতেই যে মারপিট শুরু করেছে, এইটা কী স্বাধীনতা? প্রকাশ্যে আমাকে হত্যার চেষ্টা করা হলো। আমি কখনো তারেক জিয়াকে নিয়ে কটূক্তি করিনি। আমি এখন বলে দিব যে, দেশ স্বাধীন হয়নি। আজকে যারা আমার বিরুদ্ধে হামলা করেছে আমি সবার বিরুদ্ধে মামলা করব।' হিরো আলম আরও বলেন, 'আমি একটা মামলা করেছিলাম- সেটা রুহুল কবির রিজভীর নামে। সে সময় ডিবি হারুন আমার পরিবারকে ট্রাফে ফেলে মামলা করে নিয়েছিল। আজ যারা আমার ওপর হামলা করলেন- তারা কি কেউ বাঁচতে পারবেন? কেউ বাঁচতে পারবেন না।' এর আগে এদিন দুপুরে বগুড়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হিরো আলম ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে প্রচারণার সময় মারধর ও ২০২৩ সালের ১ ফেব্রম্নয়ারি একই আসনে উপ-নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। মামলায় ওবায়দুল কাদের, বগুড়া-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রেজাউল করিম তানসেন ও সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালকে আসামি করা হয়। বেলা ১২টার দিকে আদালত চত্বরে হিরো আলম সাংবাদিকদের সঙ্গে মামলার বিষয়ে কথা বলার সময় ৫ থেকে ৭ জন যুবক তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগ এনে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় তারা হিরো আলমকে বেধড়ক মারধর করে আদালত চত্বরের বাহিরে সড়কে নিয়ে গিয়ে কান ধরে উঠবস করান। মারধরের শিকার হওয়ার পর সাংবাদিকদের কাছে হিরো আলম বলেন, 'এক স্বৈরাচারের পতনের পর আরেক দল নিজেদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ শুরু করেছে। আমি কখনো তারেক জিয়াকে নিয়ে কটূক্তি করিনি।' মামলা প্রসঙ্গে হিরো আলম বলেন, '২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন ও ২০২৩ সালের উপ-নির্বাচনে আমার ওপরে হামলা হয়েছে। আমার ভোট কারচুপি করা হয়েছে। এইসব অভিযোগে ৩৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছি।