স্বাস্থ্যের নতুন ডিজি ফ্যাসিবাদের দোসর দাবি ড্যাব'র
প্রকাশ | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
অন্তর্র্বর্তী সরকারের আমলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া রোবেদ আমিনকে 'ফ্যাসিবাদের দোসর' বলে দাবি করেছে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ড্যাব।
বিএনপি সমর্থিত চিকিৎসকদের সংগঠনটি শনিবার সংবাদ সম্মেলন করে রোবেদের নিয়োগ আদেশ বাতিলসহ সাত দাবি তুলে ধরেছে।
ড্যাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম বলেন, 'আমরা আশা করেছিলাম, এই মহাপরিচালক পদটিতে যোগ্য ব্যক্তির পদায়ন, যিনি স্বৈরাচারী সরকারের দোসর ছিলেন না। কিন্তু নতুন পদায়িত ব্যক্তি ডা. রোবেদ আমিন ফ্যাসিবাদের একজন দোসর হিসেবে বিগত শেখ হাসিনা সরকারের সব দুর্নীতির সিন্ডিকেটের সক্রিয় সদস্য।'
ডা. সালাম বলেন, '৩ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিরোধিতা করে ফ্যাসিবাদের দোসর চিকিৎসকদের অংশগ্রহণে যে শান্তি সমাবেশ করা হয়েছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে, এর অন্যতম পরিকল্পনাকারী ও বাস্তবায়নকারী হিসেবে চিহ্নিত বর্তমানে নিয়োগপ্রাপ্ত ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক।
'ছাত্র-জনতার আন্দোলন যে চেতনার বিরুদ্ধে, উচ্চাভিলাষী, পদলোভী চিকিৎসককে বৈষ্যমবিরোধী চিকিৎসক সমাজ কোনোভাবেই এটা মেনে নিতে পারছে না। এহেন ব্যক্তিকে অনতিবিলম্বে মহাপরিচালকেরে পদ থেকে প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় বৈষ্যমবিরোধী চিকৎসক-কর্মচারীর ক্ষোভ প্রশমিত হবে না।'
সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রোবেদ আমিন ও পরিচালক (প্রশাসন) শেখ ফজলে রাব্বির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতি-অর্থ আত্মসাতের তথ্য তুলে ধরা হয়।
ড্যাব সভাপতি অধ্যাপক হারুন আল রশিদ বলেন, 'আমাদের আকাঙ্ক্ষা ছিল, ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের ফলে যে অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারটি এসেছে, তারা বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে কাজ করবে এবং সে জন্য আমরা এই সরকার আসার পরপরই কিন্তু তাদের অভিনন্দন জানিয়ে আমাদের সহযোগিতার হাত প্রসারিত করেছিলাম, আমরা বক্তব্য-বিবৃতি দিয়েছিলাম।'
এক প্রশ্নের জবাবে ড্যাব সভাপতি বলেন, 'ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ডা. সজীব সরকার নামে একজন চিকিৎসক যিনি উত্তরাতে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। আপনারা জানেন যে, এই আন্দোলন দীর্ঘদিনের আন্দোলন। এই আন্দোলনে বহু চিকিৎসক নিগৃহীত হয়েছেন, গ্রেপ্তার হয়েছেন।
'আমাদের এই আন্দোলনে মাস-দুয়েকের মধ্যে আটজন চিকিসক এবং ৭-৮ জন স্বাস্থ্যকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। এর মধ্যে অন্যতম ড্যাবের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ফরহাদ হালিম ডোনারকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল। আন্দোলনে বিজয়ের পরে তিনি মুক্তি পেয়েছেন।'
অধ্যাপক হারুন বলেন, 'এ ছাড়া আন্দোলনের সময় ডা. রফিকুল ইসলাম, ডা. সাখাওয়াত হোসেন সায়ান্থ, ডা. জাহিদুল কবির- এ রকম অনেক চিকিৎসক গ্রেপ্তার হয়েছেন। কাজেই চিকিৎসকদের অবদান এই আন্দোলনে কোনো অংশে কম নয়।'
ড্যাব সভাপতি বলেন, 'অন্যান্য খাতে যদিও সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে, কিন্তু স্বাস্থ্য খাতে আমরা অত্যন্ত ব্যথিতভাবে লক্ষ্য করছি যে, স্বাস্থ্য খাতে সংস্কারের কাজটি অগ্রসর হয়নি। অগ্রসর তো হয়ইনি, বরঞ্চ স্বৈরাচারের দোসরদের আবারও পুনর্বাসন করার একটি প্রক্রিয়া আমরা লক্ষ্য করছি। এর ফলশ্রম্নতিতে আজকের আমাদের এই সংবাদ সম্মেলন এবং আমাদের এই সাত দফা দাবি।'