অধ্যক্ষকে হাতুড়িপেটা
জোর করে পদত্যাগপত্রে সই নেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা
প্রকাশ | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
ফরিদপুরের সালথা উপজেলার যদুন্দী নবকাম পলস্নী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ মো. ওবায়দুর রহমানকে হাতুড়িপেটা করে পদত্যাপত্রে সই নেওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে ভুক্তভোগী অধ্যক্ষ ওবায়দুর রহমান বাদী হয়ে সালথা থানায় মামলাটি দায়ের করেন বলে জানিয়েছেন থানার ওসি মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান।
জানা যায়, মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে কলেজের পাশের বাসিন্দা যদুনন্দী এলাকার প্রভাবশালী নেতা মো. কাইয়ুম মোল্যাকে। এছাড়া স্থানীয় কামরুল গাজী, লালন, মনির ও মিয়াসহ ৯ জনকে আসামি করেছেন। তবে এ মামলায় কোনো কলেজের শিক্ষার্থীকে আসামি করা হয়নি।
শুক্রবার সকালে অধ্যক্ষ মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, 'আমাকে হাতুড়িপেটা করে আমার কাছ থেকে পদত্যাগপত্রে সই নেন কিছু বহিরাগত সন্ত্রাসী। এতে নেতৃত্ব দেন স্থানীয় প্রভাবশালী কাইয়ুম মোল্যা, কামরুল গাজী ও তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী। আমি ইচ্ছা করে পদত্যাগপত্রে সই করিনি। তাই আমি আইনে আশ্রয় নিতে তাদের নামে মামলা করেছি। আশা করি ন্যায়বিচার পাব।'
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'ছাত্রদের দোষ নেই এখানে। ছাত্রদের ব্যবহার করেছেন ওই নেতারা। তাই ছাত্রদের আমি হয়রানি করতে চাই না।'
মামলার প্রধান আসামি কাইয়ুম মোল্যা বলেন, 'এলাকায় আমি একটি গ্রম্নপের নেতৃত্ব দেই। আরেকটি গ্রম্নপের নেতৃত্ব দেন যদুনন্দী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রব মোল্যা। দেখা যায়, আমার গ্রম্নপের ছাত্র-ছাত্রীরা কলেজে অবহেলিত। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় পুলিশ দিয়ে আমাদের শিক্ষার্থীদের নানাভাবে হয়রানি করেছেন অধ্যক্ষ ওবায়দুর রহমান। যে কারণে তার পদত্যাগের জন্য শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছে, মানববন্ধন করেছে। শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে তিনি পদত্যাগ করেছেন। এখানে আমি কোনোভাবেই জড়িত না।'
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মোহাম্মাদ ফায়েজুর রহমান বলেন, 'অধ্যক্ষ ওবায়দুর রহমানের ওপর হামলার ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'